[ভারতের মুকেশ আম্বানি, হায়দ্রাবাদ নিজাম, কিংবা ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস বা বিল গেটস নন, সর্বকালের সেরা ধনী ব্যক্তিটি ছিলেন একজন আফ্রিকান শাসক, মালির সম্রাট মানসা মুসা। বলা হচ্ছে, তার সয়-সম্পদের পরিমাণ আজকের বিবেচনায় অন্তত ৪০০ বিলিয়ন ডলার হবেই!]
আজ যখন আমরা অতি ধনী ব্যক্তিদের কথা ভাবি যারা বিশ্বের সমস্ত দামি জিনিসের মালিক এবং অত্যন্ত বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন, তখন আমাদের সামনে যে নামগুলি ভেসে ওঠে সেগুলো হলো- টেসলা বস ইলন মাস্ক, অ্যামাজন বস জেফ বেজোস, মাইক্রোসফটের প্রাক্তন সিইও বিল গেটস, ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি, হায়দ্রাবাদের নিজাম কিংবা এমনি আরো কতক নাম। কিন্তু অবাক করা তথ্যটি হলো যে, ইতিহাসে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা উপরোক্ত নামধারীদের থেকে অনেক বেশি ধনী ছিলেন। এই ধনী ব্যক্তিরা- যারা এক সময় এ পৃথিবীতে স্ব-মহিমায় বিচরণ করেছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম একটি নাম হল ‘মানসা মুসা’। অনেকেই বিশ্বাস করেন ১৪ শতকের এই আফ্রিকান সম্রাটটি ছিলেন পৃথিবীতে বসবাসকারী সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিটি।
১২৮০ সালে জন্মগ্রহণ করা মানসা মুসা পশ্চিম আফ্রিকার বিশাল মালি সাম্রাজ্যের শাসক ছিলেন। তিনি ১৩১২ সালে মসনদে বসেন এবং অনুমান করা হয় যে তার সম্পদ প্রায় ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে। ইলন মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, জেফ বেজোসের মোট সম্পদ ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
মনসা মুসার বিপুল ধন-সম্পদের উৎস ছিল লবণ ও সোনা। তার সাম্রাজ্য আইভরি কোস্ট, সেনেগাল, মালি এবং বুরকিনা ফাসোর মতো একাধিক আধুনিক আফ্রিকান দেশজুড়ে বিস্তৃত ছিল। টিম্বাকটু ছিল মুসার সাম্রাজ্যের রাজধানী।
১৩২৪ সালে মানসা মুসা হজ করার উদ্দেশ্যে মক্কার পথে মালি ত্যাগ করেন এবং রেকর্ড অনুসারে, আফ্রিকার সাহারা মরুভূমিতে প্রবেশ করা সবচেয়ে বড় কাফেলা ছিল। সৌদি আরবের মক্কায় যাওয়ার পথে তার সাথী ছিল- শতাধিক উট, বিপুল পরিমাণ সোনা, ১২,০০০ চাকর এবং ৮,০০০ অনুসারী।
মানসা মুসা তার উদারতার জন্য পরিচিত ছিলেন এবং তার লোকেরা তাকে ‘রাজাদের রাজা’ বলে ডাকত। ব্রিটিশ মিউজিয়াম অনুসারে, মানসা মুসার শাসনামলে মালি সাম্রাজ্য ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সোনা উৎপাদনকারী। তিনি তার লোকদের অকাতরে স্বর্ণ দান করতেন।
সূত্র : ডিএনএ ওয়েব
পূর্বকোণ/মাহমুদ