চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

টুইটারের সাথে প্রতিযোগিতায় হেরে যাচ্ছে ‘থ্রেডস’, বড় পতন

অনলাইন ডেস্ক

১৯ জুলাই, ২০২৩ | ১২:১৯ অপরাহ্ণ

টুইটারকে টেক্কা দিতে নতুন মাইক্রোব্লগিং সাইট ‘থ্রেডস’ এনেছিলেন মার্কিন বিলিয়নিয়র মার্ক জারকারবার্গ। ইনস্টাগ্রামের সঙ্গে থ্রেডসকে যুক্ত করায় প্রথম দিকে রেকর্ড পরিমাণ ব্যবহারকারীও পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, ব্যবহারকারীদের মধ্যে থ্রেডস নিয়ে কোনো আগ্রহই নেই। একাউন্ট খুললেও কেউ আর থ্রেডস ব্যবহার করছেন না।

 

আরটির খবরে জানানো হয়, থ্রেডস লঞ্চ করার মাত্র পাঁচ দিনেই ১০০ মিলিয়ন নতুন একাউন্ট খোলা হয় এই প্ল্যাটফর্মে। মূলত আগে থেকেই জনপ্রিয় ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট দিয়েই থ্রেডসে যুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকায় শুরুতেই প্রচুর পরিমাণ ব্যবহারকারী পেয়ে যায় প্ল্যাটফর্মটি।

 

প্রথম থেকেই থ্রেডসকে ‘টুইটার কিলার’ বলে আখ্যায়িত করতে থাকেন অনেকে। এরপর এত এত ব্যবহারকারী দেখে মনেই হচ্ছিল, এবার বুঝি টুইটারের ব্যবহারকারীরা থ্রেডসে ভিড়তে শুরু করবে। কিন্তু ডাটা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কোটি কোটি মানুষ থ্রেডসে একাউন্ট খুললেও এই অ্যাপ নিয়মিত চালাচ্ছেন অল্প কিছু মানুষই। সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যায় টুইটারের ধারে কাছেও নেই জাকারবার্গের নতুন এই মাইক্রোব্লগিং সাইট।

 

সেন্সরটাওয়ারের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রথম এক সপ্তাহে থ্রেডসের একাউন্ট সংখ্যা ১৫০ মিলিয়ন ছাড়ালেও একইসময়ে অ্যাপটির সক্রিয় ব্যবহারকারী কমেছে ৪০ শতাংশের বেশি। আর প্রতিদিন থ্রেডস ব্যবহারের গড় সময়কাল চারভাগের একভাগ হয়ে গেছে।

 

থ্রেডস লঞ্চ হওয়ার সপ্তম দিনে মাত্র ১৬ শতাংশ ব্যবহারকারী প্ল্যাটফর্মটিতে ফিরে এসেছিল। এছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির সময়েও ব্যবহারের সময় ৬ জুলাই থেকে ৬০ শতাংশ কম ছিল। ৬ জুলাই সর্বোচ্চ সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিল থ্রেডসে। তবে নিজের সেরা দিনেও থ্রেডসের সক্রিয় ব্যবহারকারী টুইটার থেকে ৬০ শতাংশ কম ছিল।

 

ডাটাডটএআই জানিয়েছে, থ্রেডস ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৩৩ শতাংশই ভারতীয়। এরপরই রয়েছে ব্রাজিল (২২ শতাংশ) ও যুক্তরাষ্ট্র (১৬ শতাংশ)।

 

আরেক বিশ্লেষণে দেখা গেছে থ্রেডস ব্যবহারকারীরা দিনে গড়ে পাঁচ মিনিট এই অ্যাপ ব্যবহার করছেন। যেখানে টুইটার ব্যবহার করা হয় গড়ে ৩০ মিনিটেরও বেশি।

 

ধারণা করা হচ্ছে, মেটার অধীনে থাকা ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে যে কঠিন সেন্সরশিপ চলে এ কারণেই থ্রেডস জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারছে না। কারণ, মাইক্রোব্লগিং সাইট হলেও থ্রেডসেও কড়াকড়ি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন জাকারবার্গ। সেখানে টুইটার সব ধরনের মতবাদকে বেশি স্বাধীনতা দিচ্ছে। সামান্য কারণেই একাউন্ট ব্যান করে দেয়া কিংবা রেস্ট্রিকশন দেয় না টুইটার। ফলে রাজনীতি থেকে শুরু করে যে কোনো বিষয়ে পোস্ট ও আলোচনার জন্য টুইটার দিন দিন আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

পূর্বকোণ/মাহমুদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট