চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান কাউন্সিলর মোবারক আলীর ওয়ার্ডের একাংশে অপরিচ্ছন্নতা ও মাত্রাতিরিক্ত মশার উৎপাতের অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। এই সময়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ চলার কারণে আতঙ্কের মধ্যে আছে সাধারণ মানুষ। যাদের সামর্থ্য আছে তারা বাসার জানালায় নেট লাগাচ্ছে। নেহায়েত প্রয়োজন ছাড়া খোলা রাখছে না বাসার দরজা-জানালা।
বিবিরহাট এলাকার বাসিন্দা মো. মোখতিয়ার মিয়া জানান, বিবিরহাট গরু বাজারের আশপাশে নালা-নর্দমা পরিষ্কার করা হয় না বললেই চলে। চট্টগ্রামসহ সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ চলছে। তাদের এলাকায় ৫ হাজারের অধিক বাসিন্দা রয়েছে। কিন্তু এখানে নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটানো হয় না। যেখানে মশার উৎপাত ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাসিন্দারা এখন বাসার জানালায় নেট লাগাচ্ছে। কারণ সবাই আতঙ্কে আছে। এলাকাবাসীর দাবি বিবিরহাট গরু বাজারের আশপাশে পরিচ্ছন্ন অভিযান এবং মশক নিধনে পর্যাপ্ত ওষুধ ছিটানো হোক।
জানতে চাইলে স্থানীয় কাউন্সিলর ও সিটি কর্পোরেশন পরিচ্ছন্ন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মোবারক আলী পূর্বকোণকে বলেন, কোরবানির ঈদের আগেই বিবিরহাট বাজারের আশপাশের এলাকার নালা-নর্দমা পরিষ্কার করা হয়। কারণ কোরবানির ঈদের সময় বিবিরহাট বাজার কেন্দ্রিক বর্জ্যরে কিছুটা চাপ থাকে। তাই আগেভাগে পরিষ্কার করা হয়। তবে কেউ যদি কোন নালা নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয় সেটিও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরিষ্কার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বিবিরহাট কাঁচা বাজারে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব জায়গায় একটি ডাস্টবিন আছে। সেটি সরানোর জন্য অনেকেই অনুরোধ করেছেন। কিন্তু সেটি সরানো হলে মানুষ আবর্জনা কোথায় ফেলবে?
মশার ওষুধ নিয়মিত স্প্রে করা হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, গতকাল হিলভিউ এলাকায় একসাথে তিনটি মেশিন দিয়ে স্প্রে করা হয়েছে। বিবিরহাটের আশপাশেও মশক নিধনে ক্রাশ প্রোগ্রাম চালানো হবে।
পূর্বকোণ/মাহমুদ