সাগর উত্তালের কারণ দেখিয়ে সন্দ্বীপ চ্যানেলে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে কাত হওয়া কনটেইনারবাহী জাহাজ ‘পানগাঁও এক্সপ্রেস’ গত ৮ দিনেও উদ্ধার হয়নি। ফলে ওই জাহাজে থাকা ৭২টি বক্সে মোট ৯৬ টিইইউস কনটেইনারের পণ্য উদ্ধার নিয়ে বিপাকে পড়েছে আমদানিকারকেরা। এখন তাদের পণ্য উদ্ধার নিয়েই শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এদিকে জাহাজটি তার আগের অবস্থানেই কাত হয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দর সূত্র। তবে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন জাহাজটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সি গ্লোরি শিপিং এজেন্সির কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে জাহাজটিতে থাকা পণ্যের আমদানিকারকেরা বন্দর কর্তৃপক্ষের দারস্থ হচ্ছেন। তাগাদা দিচ্ছেন পণ্য উদ্ধারে। গত আটদিন সাগরে পণ্য আটকে থাকায় বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তবে দুর্ঘটনার দিন জাহাজটির ১২ জন নাবিক ও বিআইডব্লিউটিএ’র দু’জন প্রতিনিধিসহ ১৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল। জাহাজটির ৭২টি বক্সে মোট ৯৬ টিইইউস পণ্যবাহী কনটেইনারের মধ্যে তিনটি পানিতে ভাসছিল। যার মধ্যে একটি নৌবাহিনী ও একটি কোস্টগার্ড উদ্ধার করে।
চট্টগ্রাম বন্দরের মালিকানাধীন ‘পানগাঁও এক্সপ্রেস’ জাহাজটি ভাড়ায় পরিচালনা করছে সি গ্লোরি শিপিং এজেন্সি। বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে জাহাজটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়। জাহাজটির কিছু অংশ কাত হয়ে গত আটদিনে একই অস্থানে পড়ে রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভাসানচরের বঙ্গোপসাগরের উপকূলে জাহাজটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি পণ্যের কনটেইনার নিয়ে কেরানীগঞ্জের পানগাঁও নৌ-টার্মিনালে যাচ্ছিল জাহাজটি।
দুর্ঘটনার পর চার্টারারের নিযুক্ত একটি টেকনিক্যাল টিম (ডলফিন মেরিন) জাহাজের পানি ও কনটেইনার অপসারণের চেষ্টা করে। এছাড়া বন্দরের টাগবোট কান্ডারি-১০সহ ভাড়া করা একটি টাগবোট দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হলেও উদ্ধারে সফল হয়নি। এখনো জাহাজটি উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। পরিচালনাকারী সি গ্লোরি শিপিং এজেন্সিকে জাহাজটি দ্রুত উদ্ধার করার জন্য চিঠি দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে নৌ-বাণিজ্য অফিসের ইঞ্জিনিয়ার সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলাম ও বন্দরের সহকারী হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মোস্তাহিদুল ইসলামকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
পূর্বকোণ/মাহমুদ