সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শুক্রবার সিলেটে টসে জিতে বোলিং নিয়েছে বাংলাদেশ। পরে আফগানদের দেয়া ১৫৫ রানের লক্ষ্যে নেমে বাংলাদেশ পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৭ রান করেছে। প্রথম ওভারে রনি তালুকদার আউট হন। ষষ্ঠ ওভারে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৪ রান করেন তিনি। লিটন দাস ঠিক টি-টোয়েন্টির ব্যাটিংটা করতে পারছিলেন না। ১৯ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১৮ রান করে ডাউন দ্য উইকেটে ওমরজাইকে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে আসেন এই ওপেনার। ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
৭.২ ওভারে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ৪১ রান তোলার পর বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ওই অবস্থায় খেলা আর না হলে বাংলাদেশ হেরে যেতো।
তবে বৃষ্টি থেমেছে দ্রুতই। আবারও ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। এবার অধিনায়ক সাকিব রানের চাকা ঘোরানোর চেষ্টা করেন। আফগান পেসার ফরিদ আহমেদকে দুটি বাউন্ডারি হাঁকান, পরের ওভারে রশিদ খানকেও চার মারেন। ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশের হাল ধরেছেন শামীম হোসেন ও তৌহিদ হৃদয়। বল বুঝে খেলছেন তারা। সুযোগ বুঝে বাউন্ডারিও হাঁকাচ্ছেন। ১৩তম ওভারে দুজনে মিলে ২১ রান তোলেন। তাতে বাংলাদেশ ১০০ তে পৌঁছে গেছে। ১৬তম ওভারে এই জুটির পঞ্চাশ হয়েছে। একই ওভারে নাজিবউল্লাহ জাদরানের হাতে জীবন পান হৃদয়, ২৮ রানে। তাদের জুটিতে জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ।
শেষ ৩ ওভারে ১৯ রান দরকার। মুজিবের বলে ক্যাচ তুলেও বেঁচে গিয়েছিলেন, রশিদকে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে আর বাঁচলেন না। উইকেটকিপার রহমানউল্লাহ গুরবাজই নিয়েছেন ক্যাচ। শামীম থেমেছেন ২৫ বলে ৩৩ রানে। হৃদয়ের সঙ্গে তাঁর জুটি থামল ৭৩ রানে। অফ স্টাম্পের বাইরে ফুলটস, হৃদয় অন্তত সে সুযোগ মিস করবেন না। এবং করেননি। এখন সমীকরণ এমন, একটি চারেই চাপ হাওয়া হয়ে যাওয়ার মতো। ফারুকির ওভারে এসেছে ৮ রান। হৃদয় অপরাজিত ৩২ বলে ৪৭ রানে। প্রথম বলে লো ফুলটস, তাতে সোজা ব্যাট চালিয়ে চার মেরে শেষ ওভার শুরু করেন মিরাজ। তবে পরের বলে পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে নবির হাতে ধরা পড়েছেন তিনি। ৪ বলে ২ রান প্রয়োজন এখন। অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট বল, এবার কট-বিহাইন্ড তাসকিন। ২ বল, ২ উইকেট। ৩ বলে প্রয়োজন ২ রান। আট উইকেট হারিয়ে শেষ দুই বলে যখন ২ রান দরকার তখন এক বল হাতে রেখেই চার হাঁকালেন শরীফুল। জিতে গেল বাংলাদেশ।
পূর্বকোণ/রাজীব/পারভেজ