নগরীর বহদ্দারহাট ও চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় এডিস মশার লার্ভা খুঁজে পেয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কীটতত্ত্ববিদরা। তারা গতকাল (রবিবার) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বহদ্দারহাট ও চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার আশাপাশজুড়ে সরেজমিনে গিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে এডিসের লার্ভা শনাক্ত করেন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি মশার লার্ভা পাওয়া যায় বহাদ্দারহাটের বাস টার্মিনালে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা গাড়ির টায়ারের মধ্যে। যেখানে প্রায় প্রতিটি টায়ারেই লার্ভার অস্তিত্ব পাওয়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আলোচ্য এলাকাগুলোতে যে পরিমাণ লার্ভা পাওয়া গেছে, তা তৎসংলগ্ন এলাকাজুড়ে মারাত্মক বংশ বিস্তার ঘটাতে পারে। ফলে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও বাড়তে পারে।
জানা যায়, রবিবার (গতকাল) সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত নগরীর বহাদ্দরহাট টার্মিনাল, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার এ, বি, ডি ব্লকের কয়েকটি সড়কের বেশ কয়েকটি বাড়ির ছাদে, বাগানে সরেজমিন পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কীটতত্ত্ববিদ মফিজুল হক শাহের নেতৃত্বে টিমে চট্টগ্রাম জেলা কীটতত্ত্ববিদ এনতেজার ফেরদৌস, কীটতত্ত্বীয় কর্মী সৈয়দ মো. মইনউদ্দিন ও মাকসুদুর রহমান এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এসময় তারা বহাদ্দরহাট থেকে শুরু করে চান্দগাঁও, শমসের পাড়া পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে গিয়ে সরেজমিনে এডিস মশার জীবাণু সংগ্রহ করেন।
জেলা কীটতত্ত্ববিদ এনতেজার ফেরদৌস বলেন, ‘বহদ্দারহাট বাস টার্মিলালে শতশত টায়ারের স্তূপ পড়ে ছিল। প্রতিটি টায়ারেই জমে থাকা পানিতে লার্ভা পাওয়া যায়। দীর্ঘদিন ধরে পানি জমে থাকার কারণে এডিস মশা বংশবিস্তারের সুযোগ করে নিয়েছে। মশার পরিমাণ এতই বেশি ছিল, আমরা নিজেরাও নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে কামড় খেয়েছি। খুবই ভয়াবহ অবস্থা ছিল। এ কার্যক্রম আগামী দুই সপ্তাহ চলমান থাকবে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে গিয়ে সরেজমিনে আমরা নমুনা সংগ্রহ করবো।’
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মাদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘ডেঙ্গুতে চট্টগ্রাম জেলার ১০জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু হওয়া ব্যক্তিদের ঠিকানা অনুসারে কিটতত্ত্ববিদরা অনুসন্ধান চালাচ্ছে। এরমধ্যে বহদ্দারহাট এলাকায় প্রথম দিনেই প্রচুর লার্ভার উপস্থিতি পেয়েছেন টিম। নমুনাও সংগ্রহ করেছে, পরবর্তীতে তা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন পেলে আইইডিসিআর এর সাথে আলোচনা করা হবে’।
পূর্বকোণ/মাহমুদ