ভারী বৃষ্টির জেরে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তানের পূর্বাঝঞ্চলীয় প্রদেশ পাঞ্জাবে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে লাহোরে। এই পরিস্থিতিতে আগামী তিনদিনে আরও মারাত্মক বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
ভারী বৃষ্টিতে প্রাণহানির বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) বলেছে, লাহোর ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির অবকাঠামো বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় প্রাদেশিক রাজধানীতে তিনজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন।
এমনকি গুলবার্গ এবং ডিফেন্স হাউজিং অথরিটির মতো অভিজাত এলাকাগুলোও পানিতে তলিয়ে যায়।
অন্যদিকে ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি প্রবল বাতাসের কারণে লাহোরে ছাদ ধসে তিনজন মারা গেছেন। এছাড়া লাহোর এবং লায়ায় দু’জন পানিতে ডুবে মারা গেছেন। মূলত বৃষ্টির পানি উভয় শহরের নিচু এলাকায় প্লাবিত হলে পানিতে ডুবে মারা যান উভয় ব্যক্তি।
এছাড়া কাসুরে বজ্রপাতে পাকিস্তান-ভারত সীমান্তের কাছে সাহজরা গ্রামে এক যুবকের প্রাণ গেছে বলে জানিয়েছে দ্য ডন।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, এছাড়াও বৃষ্টি-সম্পর্কিত নানা দুর্ঘটনায় আরও ছয়জন গুরুতর আহত হয়েছেন। পাকিস্তানের পানি ও স্যানিটেশন এজেন্সির (ওয়াসা) তথ্য অনুসারে, বুধবারের এই বৃষ্টি গত ৩০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। লাহোর শহরের ১৬টি মনিটরিং পয়েন্টের মধ্যে ১২টি পয়েন্টে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নকভি বুধবার বিকেলে টুইট করে জানিয়েছেন: ‘সকাল থেকে ২৯১ মিলিমিটার বৃষ্টি এবং সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।’
পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগের ডিরেক্টর শহীদ আব্বাস মনে করেন, আগামী তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টির কারণে ওয়াসা ও অন্যান্য সংস্থার সক্ষমতা আরও বেশি পরীক্ষার মুখে পড়বে।
এই পরিস্থিতিতে প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের মধ্যে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং উদ্ধারকারী দলগুলোকে একত্রিত করতে পাঞ্জাব সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
পূর্বকোণ/এসি