মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসে পাওয়া গেছে এক পোটলা সাদা পাউডার। পরে জানা গেল, সেই পাউডার আসলে কোকেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইংয়ে রোববার রাত পৌনে ৯টার দিকে সাদা পাউডার সদৃশ উপাদান খুঁজে পান সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা। সঙ্গে সঙ্গে কিছু সময়ের জন্য হোয়াইট হাউসের ওই অংশ খালি করে ফেলা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ওয়েস্ট উইংয়ে পাওয়া সাদা পাউডারকে ‘কোকেন’ বলে শনাক্ত করেছে ওয়াশিংটন ফায়ার ও জরুরি সেবা বিভাগ। তবে এর বিস্তারিত জানা যায়নি।
তবে ওই ঘটনার সময় প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার বাসভবনে ছিলেন না। পরিবার নিয়ে ক্যাম্প ডেভিডে ছুটিতে ছিলেন তিনি।
সাদা পাউডার পাওয়ার খবরেই সেটি পরীক্ষা করতে হোয়াইট হাউসে ছুটে যান ফায়ার ও জরুরি সেবা দপ্তরের কর্মকর্তারা। পরে প্রাথমিকভাবে তারা নিশ্চিত হন, সেটি আসলে নিষিদ্ধ মাদক কোকেন।
প্রাথমিকভাবে পরীক্ষার পরই হোয়াইট হাউস ফের খুলে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে ওই পাউডার অধিকতর পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
সিক্রেট সার্ভিস আনুষ্ঠানিকভাবে বলছে, একটি ‘উপাদান’ তারা শনাক্ত ও পরীক্ষা করে। তবে সেই উপাদান আসলে কী, সেটি সুনির্দিষ্ট করে জানায়নি তারা।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তায় নিয়োজিত এই সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ওই উপাদান অধিকতর পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়া হোয়াইট হাউসে সেটি কীভাবে ঢুকল, সে ব্যাপারেও তদন্ত চলছে।
সিক্রেট সার্ভিসের মুখপাত্র অ্যান্থনি গুগলিয়েলমি সিএনএনকে বলেন, ওয়েস্ট উইংয়ের একটি কর্মব্যস্ত জায়গায় ওই পাউডার পাওয়া যায়। ওয়াশিংটন ডিসির ফায়ার বিভাগ বিপজ্জনক উপাদান শনাক্ত ও নিয়ন্ত্রক দল ‘হ্যাজম্যাট টিম’ পাঠিয়েছে, যারা ওই উপাদানকে ‘বিপজ্জনক নয়’ বলে জানিয়েছে। সেইসঙ্গে হোয়াইট হাউসে সেটি কীভাবে প্রবেশ করল, সে ব্যাপারে একটি তদন্ত চলছে।
ওই উপাদান শনাক্ত হওয়ার দুদিন আগেই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার ক্যাম্প ডেভিডে পরিবার নিয়ে ছুটি কাটাতে যান। সেখান থেকে মঙ্গলবার তিনি হোয়াইট হাউসে ফেরেন।
পূর্বকোণ/পিআর