চট্টগ্রাম শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ:

চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে আশানুরূপ ছানা মেলেনি ময়ূর ও উটপাখির

এম জাহেদ চৌধুরী

৫ জুলাই, ২০২৩ | ১২:০৩ অপরাহ্ণ

চকরিয়ার ডুলাহাজারায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে পাখিগুলোর বংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে ধীরে ধীরে। পর্যাপ্ত ডিম দিলেও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ছানা ফুটছেনা আশানুরূপ।

 

ময়ূর ও উটপাখি ১০টি করে ডিম দিলেও জীবিত ছানা পাওয়া গেছে একটি করে। ডিমের মধ্যেই মারা গেছে কয়েকটি ছানা, অধিকাংশ ডিমে ছানাই সৃষ্টি হয়নি। যে দুটি ছানা ফুটেছে সেই ছানা বেড়ে উঠছে মানুষের সেবায়।

 

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের তত্ত্বাবধায়ক মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘২০০৭ ও ২০০৮ সালে বিভিন্ন প্রজাতির ময়ূর আনা হয় সাফারি পার্কে। পার্কে বর্তমানে নতুন ছানাসহ ৩১টি ময়ূর আছে। একটি ময়ূর গত মে মাসের শুরুতে ১০টি ডিম দেয়। এসব ডিম পার্কের ইনকিউবেটরে (কৃত্রিম প্রজনন যন্ত্র) রাখা হয়েছিলো। সেখানে একমাস পর ৪ জুন মাত্র একটি ডিম থেকে ছানা ফুটে। অধিকাংশ ডিমে ছানা আসেনি। কয়েকটিতে আসলেও ফোঁটার আগেই মারা গেছে।’

 

তিনি  বলেন, ‘গত ১৩ ডিসেম্বর গাজীপুর থেকে আনা হয় চারটি উটপাখি। চলতি বছরের মার্চের শেষদিকে একটি পাখি ১০টি ডিম দেয়। ৪২ দিন পর এ থেকেও জীবিত ছানা মেলে মাত্র একটি। ডিমের মধ্য তিনটি ছানা মারা গেছে, ছয়টি ডিমে ছানাই আসেনি।

 

পার্কের তত্ত্বাবধায়ক মাজহারুল বলেন, ‘ময়ূর ও উটপাখি ১০টি করে ডিম দিলেও টানা বিদ্যুৎ না পাওয়ায় আশানুরূপ ছানা পাওয়া যায়নি। মাত্র একটি করে জীবিত ছানা ফুটেছে। ছানা দুটি হাসপাতালের কোয়ারেন্টিনে আছে। পার্কের ভেটেরিনারি চিকিৎসক হাতেম সাজ্জাদ জুলকার নাঈনসহ আমরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রেখে যত্নে ছানা দুটি বড় করছি। এই ছানা অচিরেই নির্দিষ্ট বেষ্টনীতে স্থানান্তর করা হবে।’

 

বর্তমানে পার্কের বিভিন্ন বেষ্টনীতে বাঘ, সিংহ, জেব্রা, ওয়াইল্ড বিস্ট, জলহস্তি, ময়ূর, কুমির, হাতি, ভালুক, হরিণ, লামচিতা, শকুন, অজগর, কচ্ছপ,  ইগল, সাদা বক, রঙ্গিলা বক, সারস, মথুরা, নিশিবক,  কানিবক, ময়ূর, উটপাখিসহ ৩ গোত্রের ২৯২টি প্রাণী আবদ্ধ অবস্থায় আছে। এছাড়া উন্মুক্ত অবস্থায় রয়েছে, হরিণ, বানর, সজারু, বনমোরগসহ বিভিন্ন গোত্রের ৩ হাজারের বেশি প্রাণী।

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট