পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে তথাকথিত সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে গোলাগুলিতে সেনাবাহিনীর এক মেজরসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। রবিবার প্রদেশটির কেচ ও শেরানি জেলায় গোলাগুলি ও হামলার এসব ঘটনা ঘটে বলে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর আইএসপিআর জানিয়েছে।
জানা যায়, শেরানিতে তিনটি চেকপয়েন্টে একযোগে হামলা চালানো হয়। এতে চার নিরাপত্তা সদস্য নিহত হন। এর কয়েক ঘণ্টা পর কেচে ওই গোলাগুলির ঘটনাটি ঘটে।
পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গোয়েন্দা সূত্রে কেচের হোশাব এলাকায় একদল সন্ত্রাসবাদীর গতিবিধির খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে অভিযান চালায়। সন্ত্রাসবাদীদের বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দিতে অবরোধ বসানোর সময় একদল সন্ত্রাসী নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর গুলিবর্ষণ করে। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়। এতে মেজর সাকিব হুসেইন ও নায়েক বাকির আলি শাহাদাৎবরণ করেন। আরেক সেনা আহত হয়, বিবৃতিতে এমনটি বলা হয়েছে বলে পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে।
এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের খোঁজে ওই এলাকায় ব্যাপক অভিযান চালানো হচ্ছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
একইদিন শেরানি জেলার জোব-ডি.আই. খান মহাসড়কের দানাসার এলাকার তিনটি চেকপয়েন্টে কথিত সন্ত্রাসবাদীরা একযোগে হামলা চালালে তাদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গোলাগুলি হয়। এতে দুই কর্মকর্তাসহ নিরাপত্তা বাহিনীর চার সদস্য এবং এক সন্ত্রাসবাদী নিহত হন।
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান তাদের মুখপাত্রের মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে চেকপয়েন্টগুলোতে চালানো হামলার দায় স্বীকার করেছে। জঙ্গিরা চেকপয়েন্ট লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়ে ও রকেট নিক্ষেপ করে হামলা শুরু করে বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।
এ ঘটনার পর নিহত নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের স্বজনরাসহ বহু মানুষ দানাসার এলাকায় জড়ো হয়ে চেকপয়েন্টে হামলার প্রতিবাদে জোব-ডি.আই. মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় মহাসড়কটিতে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হামলাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করা হয়েছে এবং শিগগিরই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে, কর্তৃপক্ষের এমন আশ্বাসে প্রায় দুই ঘণ্টা পর জনতা অবরোধ সরিয়ে নেয়।
পূর্বকোণ/পিআর