বিশ্বের ১৬০টি দেশের ২০ লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমান মক্কা থেকে মিনার উদ্দেশ্যে যাত্রার মধ্য দিয়ে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা আজ শুরু হয়েছে।
রোববার (২৫ জুন) ফজরের পর ১৪৪৪ হিজরি বর্ষের হজের মূল কার্যক্রম শুরু হয়।
৭ ও ৮ জিলহজ হাজিরা মিনার তাঁবুতে অবস্থান করবেন। এরপর পর্যায়ক্রমে আরাফাতের ময়দানে অবস্থান, মুজদালিফায় রাতযাপন এবং জামারাতে কঙ্কর নিক্ষেপ, কোরবানিসহ নানা আনুষ্ঠানিকতা পালন করবেন হাজিরা। জামারাতে কঙ্কর নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে ১২ জিলহজ শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।
পবিত্র হজপালনের জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে হজযাত্রীরা সৌদি আরব পৌঁছেছেন। বাংলাদেশ থেকে এবার ১ লাখ ২২ হাজার ৫৫৮ জন হজপালন করবেন।
সৌদি আরবে এ বছর ২৭ জুন হজ অনুষ্ঠিত হবে। পরের দিন ২৮ জুন সৌদি আরবে ঈদুল আজহা। আর বাংলাদেশে ঈদুল আজহা ২৯ জুন।
হজের যাবতীয় প্রস্তুতি প্রসঙ্গে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী ডা. তৌফিক আল রাবিয়া বলেন, রোববার থেকে বিশ্বের লাখো মুসলিমের লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত হবে মক্কা। এ বছর ৩২ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী হজযাত্রীদের সেবা দেবেন। হজপালনে আল্লাহর অতিথিদের সব ধরনের সহযোগিতা করতে সরকার ও সৌদির জনগণ অংশ নেবে।
পবিত্র স্থানগুলোতে পরিবহনব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে আল-রাবিয়া বলেন, মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফার মতো স্থানগুলো একটি সমন্বিত পরিবহনব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া এক স্থান থেকে অন্যস্থানে যাওয়ার জন্য থাকবে ট্রেন ও বাস।
মন্ত্রী হজযাত্রীদের জন্য করা বিস্তৃত ব্যবস্থাপনা সম্পর্কেও কথা বলেন। সব জায়গাতেই বিশেষ করে মিনায় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো হাজযাত্রীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা। করোনাভাইরাস মহামারির পর এবারই বড় পরিসরে হজের আয়োজন করা হয়েছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২২ সালে ৯ লাখ ২৬ হাজার, ২০২১ সালে প্রায় ৫৯ হাজার এবং ২০২০ সালে মাত্র এক হাজার লোক হজপালন করেন। করোনা মহামারীর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে প্রায় ২৫ লাখ লোক হজপালন করেছিলেন।
সামর্থ্যবান মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য জীবনে একবার হজপালন ফরজ।
পূর্বকোণ/এসি