‘কবিতার শহর চট্টগ্রামে থেকে কথাসাহিত্যেও দুর্দান্ত ট্রিলজির মতো কাজ করে যাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়! আমাদের মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত সমাজের ক্লেদকুসুম এবং যাপিত নজরুল ইসলামকে প্রাণময় উপস্থাপন এবং নার্গিস উপন্যাসের জনপ্রিয়তা প্রমান করে তিনি একজন সার্থক কথাশিল্পী। চট্টগ্রামের কবিতার অনন্য উচ্চতার মতো বিশ্বজিৎ চৌধুরী কথাসাহিত্যকেও সেই উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।’ শুক্রবার বিকেলে লেখক আজাদ বুলবুল সম্পাদিত বিশ্বজিৎ চৌধুরীর কথাসাহিত্য গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে বিশিষ্ট কবি, নাট্যজন ও বিটার পরিচালক শিশির দত্ত অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে প্রকৌশলী আবদুল খালেক মিলনায়তনে পুবাকাশ ওয়েবম্যাগ ও আপন আলো প্রকাশনের উদ্যোগে এ প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করা হয়। আলোচনায় বাংলা বিভাগের অধ্যাপক কবি ও কথাশিল্পী মহীবুল আজিজ বলেন, কাজী নজরুল ইসলামের জীবনের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ধরা পড়েছে বিশ্বজিৎ চৌধুরীর উপন্যাস নার্গিস-এ। যাঁরা নজরুলকে গভীরভাবে পড়েছেন, তাঁরা নার্গিস উপন্যাসটি একভাবে উপলব্ধি করবেন। আলোচনায় ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক মুজিব রাহমান বলেন, ‘একেকজন লেখক একেকটা অঞ্চলজুড়ে থাকেন। সেই অঞ্চলের ভাষা, ভাষার ভেতরে মানুষের সংস্কৃতি, মানুষের জীবনাচার—সবকিছুই আছে। ভাষার গায়ে লেগে থাকে আমাদের আগ্রহ, সংগ্রাম, যাপিত জীবন। বিশ্বজিৎ চৌধুরীও তাঁর নিজস্ব ভাষায় প্রতিদিনকার জীবনযাপন তুলে এনেছেন।’
‘বিশ্বজিৎ চৌধুরীর ছোটগল্পে অনুভূতির সুক্ষ্ম ব্যবহার পাঠককে আলোড়িত করে। চেতনা আচমিত হয় নবতর বোধ।’ বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লার উপপরিচালক সানাউল্লাহ নূর। পুবাকাশ সম্পাদক, কবি মাঈন উদ্দিন জাহেদের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন কথাসাহিত্যিক ড. আজাদ বুলবুল।
অনুষ্ঠানে অনুভূতি প্রকাশ পর্বে কথাসাহিত্যিক ও প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘লেখালেখি জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। একটা সময় ছড়া কবিতা লিখতাম। এরপর গল্প ও উপন্যাস লেখা। এভাবেই জড়িয়ে যাওয়া। আমি যে জীবনটা যাপন করে গেছি এবং আমার চারপাশ তাকে কথাসাহিত্যে তুলে আনতে চেষ্টা করেছি।’ এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শিক্ষক ও গবেষক ড. শামসুদ্দিন শিশির ও কথাশিল্পী বিচিত্রা সেন।
পূর্বকোণ/রাজীব/পারভেজ