বিশ্বব্যাপী পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর চলমান অধিবেশনে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। প্রস্তাব অনুমোদনে, যৌথভাবে নেতৃত্ব দেয় বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। সোমবার (২৯ মে) জেনেভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত এ প্রস্তাবে ৭৪টি দেশের কো-স্পন্সরশিপ রয়েছে। এর আগে, ২০২১ সালের ২৮ এপ্রিল নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে, এ সংক্রান্ত প্রথম প্রস্তাবও বাংলাদেশ এবং আয়ারল্যান্ডের উদ্যোগে গৃহীত হয়েছিলো।
প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশগ্রহণকারী দেশসমূহ তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করে যে স্বল্পোন্নত দেশসমূহে পানিতে ডুবে মৃত্যুহার সর্বাধিক; আর অল্প খরচেই এ মৃত্যুহার কমানো সম্ভব। উন্নত বিশ্বের দেশগুলো ইতোমধ্যে শিশুদের সাঁতার শেখানোর মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ তার বক্তব্যে উল্লেখ করে, মৃত্যুহার কমাতে বাংলাদেশ আইন প্রবর্তন, প্রকল্প গ্রহণ এবং অর্থ বরাদ্দ করার মাধ্যমে পানিতে ডুবে মৃত্যুহার কমাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রস্তাবে. দ্রুততার সঙ্গে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থা, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবং এনজিওদের সমন্বয়ে ‘গ্লোবাল অ্যালায়েন্স’ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশে প্রতিদিন পানিতে ডুবে পাঁচ বছরের কম বয়সী ৩০ জন শিশু মারা যায়। ১৮ বছর বয়স সীমার বিবেচনায় এ মৃত্যুহার ৪০। এ দু’টি পরিসংখ্যানের আলোকে বলা যায়, এ ধরনের মৃত্যু প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ না নেয়া হলে, শিশুমৃত্যু প্রতিরোধে বাংলাদেশের সাফল্য ম্রিয়মান হয়ে যেতে পারে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পানিতে ডুবে সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রাণ হারায়।
বিশ্বে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এ ধরনের মৃত্যু-হার সবচেয়ে বেশি। এ প্রস্তাবের মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য দেশসমূহের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার হবে; যা পানিতে ডুবে মৃত্যু-হার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
পূর্বকোণ/রাজীব/পারভেজ