চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানাধীন এলাকায় চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগে এক হিজড়াসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় চার কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- কুমিল্লা জেলার ভাগুরাপাড়ার কোরবান আলীর সন্তান শ্রাবন্তী হিজড়া (৩৪), গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার শিমুলতলী এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে আমির হোসেন (৩৫), ভোলা জেলার সদর থানার চর রমেশ এলাকার সিধু মাঝির ছেলে জামাল (৫২), ভোলার সদর থানার আনন্দবাজার ভেলু মিয়ার এলাকার ইয়াছিন বেপারির মেয়ে মিতু আক্তার কাজল (১৯) ও একই জেলার চররমেশ এলাকার মৃত বশির আহমদের ছেলে আব্দুল জলিল (৫৫)।
সোমবার (২৯ মে) দুপুর দেড়টায় ইছহাক ডিপো টোলপ্লাজার বাইপাস রোডের পাশে এক হিজড়ার ভাসমান ঘর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা। তিনি বলেন, অসহায়ত্ব ও আর্থ-সামাজিক দুরাবস্থার সুযোগ নিয়ে চাকরি দেয়া ও লালন-পালন করার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে অসহায় কিশোরীদের এনে রাখত তারা। পরে তাদের পতিতাবৃত্তিতে লিপ্ত করার জন্য যৌন নিপীড়ন করতো। গতকাল দুপুরে এমন তথ্যের ভিত্তিতে ইছহাক ডিপো টোলপ্লাজা সংলগ্ন বাইপাস রোডের পাশে শ্রবান্তী হিজড়ার একটি ভাসমান ঘরে অভিযানে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় শ্রাবন্তী হিজড়াসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে মো. নাঈম (২৫) নামে তাদের এক সহযোগী পালিয়ে যায়। এছাড়া ওই ঘর থেকে চার কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, উদ্ধার ভিকটিমরা জানায়, শ্রাবন্তী হিজড়া তাদের চট্টগ্রাম শহরের রেলস্টেশন, টাইগারপাস এলাকা থেকে লালন-পালন করার কথা বলে ওই ঘরে এনে আটক রেখে মারধর করতো। এমনকি তাদের পতিাতাবৃত্তিতে বাধ্য করে, পরে খদ্দেরের কাছ থেকে নেওয়া টাকা নিয়ে যায় তারা। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মানপাচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ