দীর্ঘ অর্ধযুগ পর মাঠে সক্রিয় হচ্ছে ১৪ দল চট্টগ্রাম মহানগর। লক্ষ্য আগামী ৩ মাসের মধ্যে মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ড এবং থানায় সভা সমাবেশের মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে গণজাগরণ সৃষ্টি করা। এরপর লালদীঘি ময়দানে মহাসমাবেশ করবে ১৪ দল।
২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দল ঝিমিয়ে পড়ে।
জানতে চাইলে ১৪ দল চট্টগ্রাম মহানগরের সমন্বয়ক চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন পূর্বকোণকে জানান, আগামীকাল বুধবার জেলা পরিষদ চত্বরে ১৪ দলের উদ্যোগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তিনি পবিত্র হজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব গমণ করবেন। হজ থেকে ফিরে এসে মহানগরের প্রতি থানা-ওয়ার্ডে সভা-সমাবেশ করবেন। এরপর ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে মহাসমাবেশ করবেন যেখানে কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন। তিনি আরও বলেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে চট্টগ্রামের স্বাধীনতাবিরোধী চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে গণজাগরণ সৃষ্টি করা হবে।
জাসদ চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দীন বাবুল পূর্বকোণকে বলেন, আমাদেরটা আদর্শিক জোট, নির্বাচনী জোট নয়। ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। রাজাকার-আলবদর এবং তাদের আশ্রয়দাতা বিএনপিকে কোনোভাবেই ক্ষমতায় আসতে দেয়া যাবে না। ধর্মান্ধ শক্তি কোনভাবেই ক্ষমতায় আসতে পারবে না। বর্তমানে যারা গণতন্ত্রের কথা বলে তারা বাস্তবে গণতন্ত্রে বিশ^াস করে না। যদি গণতন্ত্রে বিশ^াস করতো তাহলে একজন বিরোধীদলীয় প্রধান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপর গ্রেনেড হামলা হত না। দেশে যে মহাদুর্যোগ আসছে, তা থেকে জাতিকে রক্ষা করতে ১৪ দলের বিকল্প নেই। হয়তো নানা কারণে জোট কার্যক্রম সক্রিয় ছিল না। এখন তারা বুঝতে পেরেছে তাই আমরা সক্রিয় হয়েছি।
গণআজাদী লীগের মাওলানা নজরুল ইসলাম আশরাফী পূর্বকোণকে বলেন, ১৪ বছরে কী পেলাম আর কী পাইনি তা নিয়ে আক্ষেপ নেই। আমরা প্রগতিশীলতার পক্ষে। প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠির বিরুদ্ধে সবসময় আমাদের শক্ত অবস্থান ছিল এবং আছে। দেশ ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমরা সবসময় আওয়ামী লীগের সাথে আছি।
তরিকত ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর ছাড়াও চট্টগ্রাম জেলার প্রতিটি দরবারে সভা-সমাবেশ করবে। চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক কাজী আহসান উল মোরশেদ কাদেরী পূর্বকোণকে বলেন, জননেতা এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর মৃত্যু এবং করোনা মহামারীসহ নানা কারণে কয়েকবছর ১৪ দল জোটগতভাবে কর্মসূচি পালন না করলেও তরিকত ফেডারেশন সক্রিয় ছিল। এখনো আছে। জাতীয় স্বার্থে তারা ১৪ দলের সাথে কাজ করছে। আগামীকাল বুধবার যে গণসমাবেশ হবে সেখানেও তরিকত ফেডারেশনের নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।
পূর্বকোণ/পিআর