প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তায় বাংলাদেশ একটি দায়িত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য নাম। গত ৩৫ বছর ধরে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ এবং সক্রিয় অংশগ্রহণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এমনকি এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে অন্য দেশ শান্তিরক্ষী পাঠাতে চায়নি, কিন্তু বাংলাদেশ সাহসের সাথে সে সমস্ত জায়গাতেও শান্তিরক্ষী প্রেরণ করেছে। তাই শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ একটি দায়িত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য নাম। আমরা সর্বজন স্বীকৃত বিশ্বের বুকে রোল মডেল।
সোমবার (২৯ মে) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকার প্রধান বলেন, শান্তিরবার্তাকে স্থায়ী করতে এবং এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নে কালচারাল অব পিস প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য আমি বিশ্বাস করি। নারী এবং জেন্ডার সমতা নিশ্চিতে আমাদের পদক্ষেপ ‘উইমেন পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি এজেন্ডা’ তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনীতে আমাদের নারীরা আগে ছিলেন না। আমি উদ্যোগ নিয়েছিলাম, আমাদের বিমান বাহিনী, পুলিশ বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী এবং শান্তিরক্ষী মিশনে নারীদের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
তিনি বলেন, আমাদের শান্তিরক্ষীরা যে যেখানে যে দেশে যখন দায়িত্ব পালন করেছে, করে যাচ্ছেন। তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের সাথে সাথে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা স্থানীয় জনগণ ও শিশুদের প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল, সংবেদনশীল এবং তারা বিভিন্ন সামাজিক দায়িত্বও পালন করে থাকে। স্থানীয় জনগণ অসুস্থ থাকলে তাদের চিকিৎসা দেওয়া। তাদের মাঝে ওষুধ বিতরণ, খাদ্য বিতরণ, বিশেষ করে শিশুদের প্রতি আমাদের শান্তিরক্ষীরা কত সহানুভূতিশীল যে তারা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক দায়িত্ব পালন করে স্থানীয় জনগণের হৃদয় জয় করে, মন জয় করে।
জাতির পিতার পররাষ্ট্রনীতি- সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। সেটা আজও অনুসরণ করছে বাংলাদেশ বলে জানান শেখ হাসিনা।
স্থিতিশীল শান্তিপূর্ণ পরিবেশের কারণেই দেশে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত আছে উল্লেখ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা দেশে স্থিতিশীলতা রক্ষার পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্বও পালন করেন।
পূর্বকোণ/এসি