বয়স বাড়লে চোখের দৃষ্টিশক্তি কমতে শুরু করে। অনেক সময় মানুষ পুরোপুরি দৃষ্টিহীন হয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা ক্ষীণদৃষ্টি ও দৃষ্টিহীনদের জন্য আশার আলো দেখাচ্ছেন।
তারা এমন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন যাতে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়া সম্ভব। তারা এ ক্ষেত্রে স্টেম সেল বা ভ্রূণ কোষের বিকল্প হিসেবে ত্বকের বিশেষ কোষ ব্যবহার করেছেন। তাই এতে নৈতিকতার কোনো প্রশ্ন উঠবে না। এ ছাড়া প্রতিস্থাপনের পদ্ধতিটি হবে সাশ্রয়ী।
ওয়ার্ল্ড অ্যাট লার্জ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষকরা ইতোমধ্যে ইঁদুরের ওপর তাদের উদ্ভাবিত পদ্ধতি প্রয়োগ করে সফল হয়েছেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছ থেকে পদ্ধতিটি মানুষের ক্ষেত্রে পরীক্ষার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। গবেষকদের আশা, আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে তাদের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে লাখো মানুষ দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের সেন্টার ফর রেটিনা ইনোভেশনের গবেষকরা ম্যাকুলার ডিজেনারেশন নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে যুগান্তকারী এ আবিস্কার করেছেন। তারা বলছেন, বয়সের সঙ্গে সম্পর্কিত ম্যাকুলার অবক্ষয় (ম্যাকুলার ডিজেনারেশন বা এমডি) সমস্যায় ভোগেন লাখো মানুষ। চোখের ম্যাকুলার ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাওয়াকে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন বলা হয়। ম্যাকুলা হলো চোখের পেছনে রেটিনার একটা ছোট্ট জায়গা যা দিয়ে আমরা সূক্ষ্ণ জিনিসও পরিস্কার দেখতে পাই। তাদের দাবি, যে পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করেছেন তা ক্ষীণদৃষ্টি সমস্যা দূর করে চক্ষুবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।
গবেষকরা বলেছেন, তারা স্টেম সেল বা ভ্রূণ কোষের বিকল্প হিসেবে ত্বকের ফাইব্রোব্লাস্ট কোষ থেকে ফার্মাকোলজিক্যাল-রূপান্তর প্রক্রিয়ায় প্রতিস্থাপনযোগ্য ফোটোরিসেপ্টর তৈরি করেছেন। এতে নৈতিক ও আইনি বিধিনিষেধ নেই। এ ছাড়া প্রক্রিয়াটি দ্রুত এবং সাশ্রয়ী। তথ্যসূত্র: সমকাল
পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ