শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও আইটিবেইসড পড়াশোনার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ তাদের হাত ধরেই বাস্তবিক পক্ষে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে, বলেছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চট্টগ্রামের ২৪ পদাতিক ডিভিশনের আয়োজনে চট্টগ্রাম সেনানিবাস মিলনায়তনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ও ‘স্মার্ট চট্টগ্রাম’ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত অবহিতকরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম।
সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ‘স্মার্ট চট্টগ্রাম’ বিনির্মাণে সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের ভূমিকা এবং জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রামের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপনা করেন।
তিনি স্মার্ট বাংলাদেশের তিনটি মূলনীতি-ক্যাসলেস, পেপারলেস, প্রেজেন্সলেস ব্যবস্থা এবং চারটি পিলার- স্মার্ট সিটিজেন,স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট ইকনমি বিষয়ে রূপকল্প -২০৪১ অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আলোচনা করেন।
স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, আইওটি, ক্লাউড কম্পিউটিং, ব্লক চেইন, ন্যানো প্রযুক্তি কিভাবে ব্যবহার করা যায় তার সংক্ষিপ্ত ধারণা প্রদান করেন। স্মার্ট সরকারি সেবা, স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা, স্মার্ট বিচার ও আইন-শৃঙ্খলা, স্মার্ট সামাজিক সুরক্ষা, স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা, স্মার্ট শিক্ষা ও পরিবহণ ব্যবস্থা নিয়েও ধারণা প্রদান করেন তিনি।
জেলা প্রশাসক বলেন, চট্টগ্রামেই প্রথম ‘স্মার্ট আশ্রয়ণ’ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে পটিয়া উপজেলায় হাইদগাঁও আশ্রয়ণকে নির্বাচন করে সোলার প্যানেল, ট্যাপড ওয়াটার, পুকুর খনন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, সবুজায়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, শতভাগ স্যানিটেশনসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘স্মার্ট চট্টগ্রাম বেস্ট আইডিয়া এওয়ার্ড’ প্রতিযোগিতার আয়োজন, সকল বিদ্যালয়ে রোবোটিক্স ক্লাব গঠন, স্মার্ট চট্টগ্রাম বেস্ট আইডিয়া এওয়ার্ড প্রতিযোগিতার আয়োজন, প্রাপ্ত আইডিয়া/প্রকল্পসমূহ নিয়ে স্মার্ট চট্টগ্রাম শোকেসিং ও উৎসব আয়োজন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘স্মার্ট চট্টগ্রাম’ বাস্তবায়ন করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার সুযোগ রয়েছে।
এ সময় তিনি চট্টগ্রাম সেনানিবাসের কর্মকর্তাদেরকে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের গুরুত্ব ও ব্যাপ্তি ব্যাপকভাবে প্রচারের অনুরোধ করেন।
সভায় চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ক্যান্টমেন্ট বোর্ড ও ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
পূর্বকোণ/জেইউ/এএইচ