চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

ছোটদের স্মার্টফোন ব্যবহারে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা

অনলাইন ডেস্ক

২৫ মে, ২০২৩ | ৬:২৬ অপরাহ্ণ

শিশুর কাছে সেলফোন দেওয়া নিয়ে বিভিন্ন সময়ের গবেষণায় নানা নেতিবাচক দিক তুলে ধরা হয়েছে। তবে গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্যাপিয়েন ল্যাবসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে নতুন তথ্য। শিশুদের হাতে স্মার্টফোন বা ডিভাইস দেওয়ার বিষয়টি শুধু ঝুঁকিপূর্ণ নয়, বরং অল্প বয়সে সেলফোনের মালিকানা শিশুদের ভার্চুয়াল ব্যস্ততা বৃদ্ধি, আত্মসম্মানবোধ ও আত্মহত্যার প্রবণতাকে প্রভাবিত করে।

৩৪টি দেশের ২৭ হাজার ৯৬৯ জন জেনারেশন জেড (১৯৯০-এর শেষ ও ২০০০ সালের শুরুর দিকের প্রজন্ম) তরুণের (বয়স ১৮-২৪ বছর) তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। মহামারি শুরুর আগে এ বয়সের তরুণদের মানসিক সুস্থতা কমতে শুরু করে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

২০২১ সালে কমন সেন্স মিডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৩-১৮ বছর বয়সি কিশোররা এন্টারটেইনমেন্ট স্ক্রিনে প্রতিদিন গড়ে ৮ দশমিক ৪ ঘণ্টা ব্যয় করছে। এছাড়া যাদের বয়স ৮-১২ বছরের মধ্যে তারা গড়ে ব্যয় করে ৫ দশমিক ৩ ঘণ্টা করে। শিশুদের ওপর সেলফোনের সম্ভাব্য প্রভাব বিবেচনা করে বিষয়টিকে উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্যাপিয়েন ল্যাবসের সমীক্ষা অনুসারে, ১৮-২৪ বছর বয়সের মধ্যে যারা তুলনামূলক বেশি বয়সে তাদের প্রথম সেলফোন (বা ট্যাবলেট) পেয়েছে, অন্য শিশুর তুলনায় তাদের মানসিক স্বাস্থ্যগত অবস্থা ভালো পর্যায়ে রয়েছে। তাছাড়া তারা আত্মহত্যার চিন্তা, অন্যদের প্রতি শত্রুতামূলক মনোভাবসহ কম মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত এবং কম বাস্তববিচ্ছিন্ন।

শৈশব থেকে সেলফোন ব্যবহার পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্যের ওপর ক্রমবর্ধমানভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, এ প্রভাবের মাত্রা নারীদের জন্য হতে পারে আরও নেতিবাচক।

প্রতিবেদন অনুসারে, যেসব নারী শিশুর হাতে ১০ বছর বয়সের আগে সেলফোন দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে ৬০-৭০ শতাংশই প্রাপ্তবয়স্ক পর্যায়ে এসে মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও পুরুষের আলাদা কোনো প্রতিরোধ সক্ষমতা নেই, তবে তাদের এ ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভোগার প্রবণতা কম।

গবেষকরা বলছেন, গবেষণার এটাই নির্দেশ করে যে যারা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ছেড়ে খেলাধুলা, ব্যায়াম, বন্ধুদের সঙ্গে মুখোমুখি আড্ডায় সময় ব্যয় করে, তাদেরই সুখী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে সীমিত সময়, যেমন দিনে এক বা দুই ঘণ্টা স্মার্টফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইসের স্ক্রিনে সময় ব্যয় করাটা নিরাপদ।

গবেষকরা পরামর্শ দেন, ১৮-২৪ বছর বয়সের তরুণদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যের ধারাবাহিক পতন প্রবণতার জন্য সেলফোন দায়ী হতে পারে। কেননা ইন্টারনেট যুগের আগে, বয়স ১৮ বছর হওয়া পর্যন্ত তরুণেরা প্রায় ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার ঘণ্টা পরিবার, বন্ধু বা পরিচিতদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ও আলাপচারিতায় ব্যয় করত। তথ্যসূত্র: যুগান্তর

পূর্বকোণ/সাফা

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট