রাতের খাবারে ঝাল ঝাল কষা মাংসের সঙ্গে রুটি বানিয়েছিলেন। এ দিকে সন্ধেবেলায় বাড়িতে বন্ধুরা এসেছিলেন। আড্ডার ফাঁকে মুখ চলেছে কাটলেট, ফিশফ্রাই দিয়ে। ব্যস, রাতের খাবার খাওয়ার আর জায়গা নেই পেটে।
তা-ও শরীরের কথা ভেবে একটি রুটি খেলেন, কিন্তু বাকি রুটিগুলির কী গতি হবে? খাবার নষ্ট না করে বরং যত্ন করে রেখে দিন। অনেকেরই অজানা, বাসি রুটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। বাসি খাবার খেলে গ্যাস-অম্বল হয়, সেটা ঠিক। কিন্তু রুটির ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়। বাসি রুটির উপকারিতার কথা জানলে বিস্মিত হবেন আপনিও।
১) উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেক মানুষ। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে দৈনন্দিন জীবন মেনে চলতে হয় প্রচুর বিধি-নিষেধ। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধও খেতে হয়। তবে ঘরোয়া উপায়ে রক্তচাপ কমাতে দুধের সঙ্গে খেতে পারেন বাসি রুটি। এতে শরীরে নুনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২) বাসি রুটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে ফাইবার দারুণ কাজ করে। ফলে খিদে কম পায়। বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে।
৩) বাসি রুটির মধ্যে থাকা ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন, হাঁপানির সমস্যার মহৌষধি। অ্যাজ়মার সমস্যা থাকলেও ভরসা রাখতে পারেন বাসি রুটিতে।
৪) বাসি রুটি খেলে শুধু যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমে, এমন নয়। কমে স্ট্রোকের ঝুঁকিও। রুটি শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৫) ওজন কমানোর জন্য পরিশ্রমের কমতি রাখছেন না। অথচ তা-ও সুফল পাচ্ছেন না। আপনার হেঁশেলেই রয়েছে ওজন কমানোর হাতিয়ার। জানেন, বাসি রুটি খেলে ওজন ঝরে দ্রুত। গ্যাস-অম্বলের ভ্রান্ত চিন্তা না করে, বরং ছিপছিপে হয়ে উঠতে ভরসা রাখতে পারেন বাসি রুটির উপর।
পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ