গ্রীন শিপইয়ার্ডের সনদ পেল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের শীতলপুর সাগরপাড়ে অবস্থিত এসএন কর্পোরেশন নামক জাহাজভাঙা কারখানা। রবিবার (২১ মে) দুপুরে কারখানাটি পরিদর্শন শেষে এটিকে গ্রীন শিপইয়ার্ড ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ক্লাসএনকে।
পরে কারখানা কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানে এসএন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান শওকত আলী চৌধুরীর হাতে গ্রীন শিপ ইয়ার্ডের সনদ তুলে দেন ক্লাসএনকে’র মহাব্যবস্থাপক জুনিছি হিরথা।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএসবিআরএ সভাপতি আবু তাহের। এসএন কপোরেশনের প্রধান নির্বাহী বরকত উল্লাহ সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসবিআরএ সচিব মো.ছিদ্দিক ও সহকারি সচিব নাজমুল ইসলাম।
বিশিষ্ট শিপব্রেকার্স এসএন গ্রীন কর্পোরেশন শিপইয়ার্ডের মালিক শিল্পপতি শওকত আলী চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে একমাত্র জাহাজ ভাঙা ইয়ার্ডগুলো হচ্ছে সীতাকুণ্ডের সাগর উপকূলে। এলসি ও ডলার সমস্যার কারণে দেড় শতাধিক ইয়ার্ডের মধ্যে বর্তমানে চালু আছে ৩০ থেকে ৩৫ ইয়ার্ড। অনেক অর্থব্যয় করে ইয়ার্ডগুলো গ্রিন ইয়ার্ডে রূপান্তর করা হচ্ছে। ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানের ইয়ার্ডগুলো অবশ্যই গ্রীন শিপইয়ার্ড করতে হবে। তার কারখানা পরিদর্শনে এসে ক্লাসএনকে’র প্রতিনিধিরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।
বিএসবিআরএর সভাপতি আবু তাহের বলেন, জাহাজভাঙা কারখানা চালাতে হলে সবাইকে গ্রীন শিপ ইয়ার্ড করতেই হবে। এর কোন বিকল্প নেই। গ্রীন শিপইয়ার্ড হলে এ সংক্রান্ত ৯০ শতাংশ সমস্যার সমাধান হবে। জাহাজভাঙা কারখানাকে লাল শ্রেণিভুক্ত করেছে সরকার। আগে জাহাজভাঙা কারখানা ছিল কমলা খ শ্রেণিভুক্ত। এখন তারা পূর্বের অবস্থায় ফিরে নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ