ভুয়া সচিব ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার মোজাম্মেল হক চৌধুরী (৪৭) ফেনী জেলার পরশুরাম থানার কলাপাড়ার এছাক চৌধুরীর ছেলে।
সোমবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় পৌনে ৬টায় নগরীর খুলশী থানাধীন জিইসি মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, গত ৮ মে মোজাম্মেল হক চৌধুরী ঢাকা মহানগরীর শেরে বাংলা থানা এলাকায় নিজেকে সচিব পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করছে; এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১ গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। এক পর্যায়ে র্যাব জানতে পারে, প্রতারক মোজাম্মেল তার ধানমন্ডির বাসায় অবস্থান করেছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ৯ মে র্যাব তার বাসায় অভিযানে গেলে প্রতারক মোজাম্মেল তার আগে কৌশলে পালিয়ে যায়। এসময় তার ব্যবহৃত একটি পাজেরো জিপ (মন্ত্রণালয়ের স্টিকার ও ফ্লাগ স্ট্যান্ড যুক্ত) ও একটি নোহা গাড়ি (এসএ টিভি প্রেস লেখা যুক্ত) জব্দ করা হয়। গাড়ির ভেতর তল্লাশি করে প্রতারক মোজাম্মেল হক চৌধুরীর নামে দুইটি আইডি কার্ড পাওয়া যায়। যার একটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রবেশ পত্র। এছাড়াও নোহা গাড়ির গ্লাসে এসএ টিভি প্রেস লেখাযুক্ত স্টিকারের কপি এবং পাজেরো জিপ গাড়ির সামনে বাংলাদেশ সচিবালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০১৩ লেখাসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়। পালিয়ে গেলেও র্যাব তাকে ধরতে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। অভিযানে যুক্ত হয় র্যাব-৭ এর একটি টিম। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব ফের জানতে পারে প্রতারক মোজাম্মেল জিইসি এলাকায় অবস্থান করছে। সোমবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার। তিনি জানান, প্রতারক মোজাম্মেল হক চৌধুরী নিজেকে কখনো সচিব, কখনো সাংবাদিক এবং কখনো সরকারি উর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় ব্যবহার করে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের অধীনে মিল্কভিটা প্রজেক্ট, তথ্য মন্ত্রণালয়, পনিসম্পদ মন্ত্রণালয়নসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উন্নয়নমূলক কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক এবং সাধারণ জনগণের কাছ থেকে ব্যাংক এবং ব্যাংক পে-অর্ডারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আসছে। তার বিরুদ্ধে ঢাকার শেরেবাংলা নগর এবং উত্তরা পশ্চিম থানায় টাকা আত্মসৎ এবং প্রতারণার ২টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পূর্বকোণ/পিআর/পারভেজ