চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

অগ্নিদগ্ধ শাহিনের মৃত্যু প্রধান আসামি রিমান্ডে

১ মে, ২০১৯ | ২:২৯ পূর্বাহ্ণ

স্ত্রীর স্বীকৃতি আদায়ে রাউজান থেকে লক্ষ্মীপুর এসে অগ্নিদগ্ধ হয়ে শাহিন আক্তারের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি সালাউদ্দিনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রিমান্ড চেয়ে তাকে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে হাজির করলে বিচারক এ আদেশ দেন। লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।- বাংলানিউজ
এর আগে সোমবার দুপুরে সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সালাউদ্দিন চর ফলকন গ্রামের মহর আলীর ছেলে। পেশায় তিনি রিকশাচালক।
গত ২২ এপ্রিল সোমবার রাতে নিহতের বাবা জাফর উদ্দিন বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। মামলায় সালাউদ্দিনসহ পাঁচজনের নামোল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও সাত থেকে আটজনকে

আসামি করা হয়। এরপর মামলার চার আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কমলনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর হোসেন তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করেন। শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে বিচারক তারেক আজিজ তাদের দু’দিন করে রিমান্ড দেন। তারা হলেন-প্রধান আসামি সালাউদ্দিনের ভাই আলাউদ্দিন, আব্দুর রহমান, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য হাফিজ উদ্দিন ও গ্রামপুলিশ আবু তাহের।
এরআগে ২১ এপ্রিল বিকেলে স্থানীয়রা কমলনগর উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের আইয়ুবনগর এলাকার একটি সয়াবিনক্ষেতের ভেতর থেকে শাহিনকে গায়ে আগুন লাগা অবস্থায় দৌড়ে বের হতে দেখেন। স্থানীয়রা দগ্ধ শাহিনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।নিহত শাহিন চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার সোনাগাজী গ্রামের জাফর উদ্দিনের মেয়ে। তিনি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
২৩ এপ্রিল সকাল ১১টার দিকে তার বাবা জাফর উদ্দিনের কাছে শাহিনের মরদেহ ময়নাতদন্ত সম্পন্নের পর হস্তান্তর করা হয়। রাতে জানাজা পর মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।লক্ষ্মীপুর সদর হাসপতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শাহিনের অভিযোগ, স্ত্রীর স্বীকৃতি চাওয়ায় আমার গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন সালাউদ্দিন।
স্থানীয়রা জানান, ওই নারী সালাউদ্দিনের শ্বশুরবাড়িতে এসে সালাউদ্দিনের কাছে স্ত্রীর স্বীকৃতি চান। কিন্তু সালাউদ্দিন বিয়ে করার কথা অস্বীকার করেন। এসময় শাহিনের কাছে বিয়ের কাবিননামা চাওয়া হয়। তিনি দিতে পারেননি। কাবিননামা দেখাতে না পারায় তাকে সেগুলো আনতে বলা হয়। তাকে একটি ইজিবাইকে করে চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য হাজিরহাট বাসস্ট্যান্ডে পাঠিয়ে দেয় স্থানীয়রা। কিন্তু যাওয়ার পথে ওই নারী ইজিবাইক থেকে নেমে যান। ফের সালাউদ্দিনের বাড়ির কাছে যান। কিছু সময় পর গায়ে আগুন নিয়ে সয়াবিনক্ষেত থেকে দৌড়ে বের হন ওই নারী।কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ঘটনার পর থেকে সালাউদ্দিন পলাতক ছিলেন। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ও পুলিশের অব্যাহত চেষ্টায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। গ্রেফতার করে তাকে আদালতে হাজির করে আসামির সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে তিনদিনের রিমান্ড দেন

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট