চট্টগ্রাম বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫

সর্বশেষ:

বাড়বকু-ের সন্তান চাঁদপুরে জলদস্যুর গুলিতে নিহত

শোকের মাতমের মাঝে স্মৃতি হাতড়াচ্ছে জনির পরিবার

নিজস্ব সংবাদদাতা

২৯ এপ্রিল, ২০১৯ | ২:৪৬ পূর্বাহ্ণ

চাঁদপুরের হাইমচরে জলদস্যুর গুলিতে নিহত হওয়া পুলিশ সদস্য সীতাকু-ের বাড়বকু-ের সন্তান মোশারফ হোসেন জনির (৩০) এর লাশ দুই দিন পর গতকাল রবিবার উদ্ধার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এদিকে এই দুঃসংবাদ ছড়িয়ে পড়লে জনির গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম শুরু হয়েছে। আজ সোমবার তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন নিহতের চাচাতভাই বাড়বকু-ের ইউপি চেয়ারম্যান মো. ছাদাকাত উল্লাহ মিয়াজী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সীতাকু-ের বাড়বকু- ইউনিয়নের অলিনগর মিয়াজী বাড়ির মৃত জামাল উল্লার ৫ ছেলের মধ্যে মোশারফ হোসেন জনি ৫ম। তিনি গত প্রায় ১০ বছর আগে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে যোগ দেন। বিভিন্ন থানায় চাকরি শেষে বর্তমানে তিনি চাঁদপুরের হাইমচর থানায় কর্মরত ছিলেন। গত শুক্রবার রাতে জনি থানার পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে নদীতে জলদস্যুদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাতে গেলে জলদস্যুদের গুলিতে আহত হয়ে নদীতে পড়ে যান। এরপর দুই দিন নিখোঁজ থাকার পর গতকাল রবিবার দুপুরে জেলেদের জালে তার লাশ ভেসে আসলে পুলিশ তা উদ্ধার করেন। হাইমচর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মহসিন আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলে ভাইয়ের লাশ দেখতে ছুটে যান তার বড় ভাই কামরুল ইসলাম। তিনি জানান, দুই দিন নিখোঁজ থাকার পর রবিবার দুপুরে তার ভাই জনির লাশ উদ্ধার হয়েছে। তিনি আরো জানান, জনির স্ত্রী শামীমা আক্তারও একই থানায় পুলিশ সদস্য হিসেবে কর্মরত। সংসারে তাদের একটি ৪ বছর বয়সী ছেলে আছে। সুখেই দিন কাটছিলো তাদের। কিন্তু হঠাৎ এ মৃত্যুর ঘটনায় সংসারটি চরম দুঃসময়ের মধ্যে পড়ে গেল। এই মৃত্যুর ঘটনায় বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। রবিবার বিকালে চাঁদপুর পুলিশ লাইনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রাতেই লাশ বাড়িতে নিয়ে আনা হচ্ছে। আজ সোমবার সকাল ৯টায় বাড়বকু-ে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। বাড়বকু- ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছাদাকাত উল্লাহ মিয়াজী বলেন, পুলিশ সদস্য জনি আমার চাচাত ভাই। তার এ মৃত্যু খুবই পীড়াদায়ক। এ মৃত্যুর ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের মাতম চলছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট