
রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম রাউজান এলাকার ইমরানুল করিম ইমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি একই এলাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী অমিত মুহুরী (৩২) অপরবন্দী রিন্টুর (রিপন নাথ) আঘাতে খুন হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে ইমনের পরিবার। বৃহস্পতিবার ইমনের মা ও তার স্বজনরা এ প্রতিনিধির কাছে এক প্রতিক্রিয়ায় এ হত্যাকে ‘আল্লাহ’র বিচার বলে অবহিত করেছেন। এদিকে নিহত সন্ত্রাসী অমিত মুহুরীর ময়না তদন্তশেষে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পারিবারিক শ্মশানে দাহ করা হয়েছে। ছেলে হত্যার মূল ও চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি অমিত মুহুরীর মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে ইমনের মা এরশাদ আরা বেগম বলেন, ‘নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে ছেলে হত্যার বিচার চেয়েছিলাম। আল্লাহ আমাকে ছেলে হত্যার
বিচার দেখালো। ছেলের শোকে তার বাবা রেজাউল করিম খোকন ৬ মাস আগে স্ট্রোক করে মারা গেছেন। খুনির মা, বাবা এখন বুঝবে সন্তান হারালে কেমন লাগে। জীবিত থাকতে আমাকে আল্লাহ খুনির পরিণতি দেখালো এটাই এখন আমার সান্ত¡না’। চাচা হারুনুর রশীদ চৌধুরী টিপু বলেন, ‘ইমনের মা সব সময় কান্না করতো। সেই কান্নার ফসল হয়তো এই পরিণতি খুনির’।
উল্লেখ্য, রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ডা. মনোরঞ্জন মুহুরী চেয়ারম্যান বাড়ির অজিত মুহুরীর ছেলে অমিত মুহুরী। সে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী ওরফে বাবরের অনুসারী। ২০১৭ সালের ৯ আগস্ট নগরীর নন্দনকানন হরিশ দত্ত লেনের নিজ বাসায় বন্ধু একই এলাকার (রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের) লুধী চৌধুরী বাড়ির ইমরানুল করিম ইমনকে ডেকে হত্যা করে। এরপর ১৭ সালের ১৩ আগস্ট বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে নগরীর রানীর দিঘির পাড় থেকে ইমনের লাশ উদ্ধার করে। ময়না তদন্তশেষে ১৭ আগস্ট আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে চৈতন্যাগলির কবরস্থানে ইমনের লাশ দাফন করা হয়। প্রায় একমাস পর ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ইমনের লাশ উত্তোলন করে রাউজানের গ্রামের বাড়িতে পুনরায় দাফন করা হয়। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা থেকে অমিতকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। ওই ঘটনায় কারাবন্দী অবস্থায় অমিতকে বুধবার রাত ১০টার দিকে কারাগারে খুন করে অপরবন্দী রিন্টু। রিন্টুর ‘ইটের’ আঘাতে মাথায় মারাত্মকভাবে জখম হওয়ার পর মৃত্যুবরণ করে অমিত-এমনটিই জানিয়েছিলেন কারা কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত নিহত ইমন একসময় রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আর একই এলাকার অমিত ছিলেন তারই ঘনিষ্ট বন্ধু। অমিত তার স্ত্রীর সঙ্গে ইমনের অবৈধ সম্পর্কের জেরে তাকে (ইমনকে) হত্যা করে বলে একটি সূত্র জানিয়েছিল তখন।