চট্টগ্রাম বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫

রোজাদারকে তাওবার মাধ্যমে কবিরা গুনাহ মাফ চাইতে হবে

রায়হান আজাদ

২৩ মার্চ, ২০২৫ | ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ

তাওবা অর্থ প্রত্যাবর্তন করা, ফিরে আসা। ইসলামের পরিভাষায় তাওবা হচ্ছে বান্দা কৃত অপরাধের কথা স্মরণ করে আল্লাহর কাছে ইসতিগফার কামনা করত সত্য-সঠিক পথে ফিরে আসা। গুনাহ মাফ করতে পারা রমজানুল মোবারকের বড় সাফল্য। কবিরা গুনাহ তথা বড় বড় গুনাহ থেকে মাফ পেতে হলে অবশ্যই তাওবা করতে হবে।

 

হাদিস শরীফের ভাষ্য মতে, শিরক তথা আল্লাহ পাকের সাথে যে কোন কিছুকে যে কোনভাবে অংশীদার মনে করা, ধর্ষণ-ব্যভিচার, হত্যা-অপহরণ, সুদ-ঘুষ-দুর্নীতি, চুরি-ডাকাতি, রাহাজানি, মিথ্যা বলা, মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া, যাদু-টোনা, মদ-জুয়া, সতী-সাধ্বী নারীর চরিত্রে অপবাদ লেপন প্রভৃতি কবীরা গুনাহ। এ গুনাহ তাওবা ছাড়া মাফ হবে না। তাওবা মানে ফিরে আসা। ইসলামের পরিভাষায়, তাওবা হচ্ছে কৃত অপরাধের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহ ও তার রাসুলের বিধানের দিকে ফিরে আসা।

 

তাওবার গুরুত্ব সম্পর্কে আল্লাহ পাক বলেন, “হে ঈমানদারগণ ! তোমরা সবাই তাওবা করে আল্লাহর দিকে ফিরে এস, যাতে করে তোমরা সফল হতে পার” (সুরা আন্ নুর-৩১)। অন্য জায়গায় ইরশাদ হয়েছে, “অতএব তারা কি আল্লাহর দিকে তাওবা করে ফিরে আসবে না? তারা তাদের গুনাহ মাফের জন্য ক্ষমা চাইবে না? অথচ আল্লাহ পরওয়ারদেগার তো ক্ষমাশীল ও মেহেরবান” (সুরা মায়েদা-৭৪)।

 

হাদিসে কুদসিতে এসেছে, “তোমাদের কেউ কোন নির্জন ভূমিতে তার হারানো ঘোড়া খুঁজে পেলে যতোটা খুশি হয়, বান্দা তাওবা করলে আল্লাহ পাক তার চাইতে অনেক বেশি খুশি হন। সে আমার দিকে এক বিঘত এগিয়ে এলে আমি তার দিকে এক বাহু এগিয়ে যাই, সে আমার দিকে এক বাহু এগিয়ে এলে আমি তার দিকে দু‘বাহু এগিয়ে যাই, সে আমার দিকে হেঁটে এলে আমি তার দিকে দৌড়ে যাই।”

 

তাওবা করার নিয়ম হচ্ছে, পাক-পবিত্রতা হাছিল করে বান্দাকে একাগ্রচিত্তে আল্লাহর শাহী দরবারে নিজের কৃত অপরাধ উপলদ্ধি ও স্বীকার করতে হবে। অপরাধের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়ে জাহান্নামের শাস্তির ভয়ে অশ্রুপাত করতে হবে। তিনিই তো গুনাহগার বান্দাদের আশাবাদী করে বলেছেন, “যারা তাওবা করে ও নিজেদের কর্মনীতি সংশোধন করে নেয় এবং যা গোপন করেছিল তা প্রকাশ করে তাদেরকে আমি মাফ করে দেব। প্রকৃতপক্ষে আমি তাওবা গ্রহণকারী ও দয়ালু” (সুরাতুল বাকারা-১৬০)।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট