চট্টগ্রাম রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫

সর্বশেষ:

গুনাহগার মানুষের জন্য পাপমুক্তির প্রকৃত সময় রমজান

রায়হান আজাদ

৩ মার্চ, ২০২৫ | ১২:১৫ অপরাহ্ণ

ইবাদাতের বসন্তকাল নামে খ্যাত রমজান মাসকে যারা যথাযথ মর্যাদায় বরণ করবে, সিয়াম সাধনার মাধ্যমে আত্মিক ও শারীরিক উন্নতি সাধন করত আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারবে তারাই হবে প্রকৃত সফলকাম। আত্মার পরিশুদ্ধি-পরিতৃপ্তি অর্জনের এক অনন্য খোরাক হচ্ছে মাহে রমজানের এ ‘সিয়াম’। এত সব ফজিলতের জন্য মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মাসকে হাদিসে ‘শাহরুল্লাহ’ তথা আল্লাহর মাস বলে অভিহিত করেছেন।

 

রমজানুল মোবারক মাহাত্ম্য ও ফজিলতে ভরপুর বরকতময় একটি মাস। ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ রোজার গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে কুরআন-হাদিসে প্রচুর বর্ণনা পাওয়া যায়। রমজান গুনাহগার মানুষের জন্য পাপমুক্তির প্রকৃত সময়। আত্মশুদ্ধি ও আত্মনিবেদনের মাধ্যমে খোদার দিদার লাভের মহোত্তম উসিলা। রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফরমায়েছেন, ‘প্রত্যেক বস্তুর একটি প্রবেশদ্বার রয়েছে আর ইবাদতের প্রবেশদ্বার হল সিয়াম’। মাসব্যাপী রোজা পালনের ফলে স্বাস্থ্যের বর্জ্য-ময়লা দূর হয়, স্বচ্ছ-সুন্দর হয় দৈনন্দিন জীবন ও রপ্ত হয় শরীর গঠনের অনিবার্য নিয়মাবলী। ঝগড়া, ফ্যাসাদ, মারামারি ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা রমজানে কমে যায়। মুমিন নিজেকে রোজাদার ভেবে এ সব কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকে।

 

রমজানের ফজিলত ও বরকত বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। এ মাসের এত সওয়াব ও নিয়ামত আর কোন মাসে ও কোন বিধানে নেই। রাসুলে আখের সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফরমায়েছেন, যদি আল্লাহর বান্দাগণ পবিত্র রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত পুরোপুরিভাবে জানতে পারত তাহলে আমার উম্মতগণ আকাঙ্খা করতো যে সারা বছর যেন রমজান হয়।

 

রমজান নেকি অর্জনের প্রতিযোগিতার মাস। প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগাবার মাস। সকল সুখ-শান্তি, আরাম-আয়েশ ও বিনোদন বাদ দিয়ে নিজের গুনাহ মাফের পর তরক্কি হাসিলের মধ্য দিয়ে এ মাস অতিক্রম করা বাঞ্ছনীয়। শুধু ক্ষুধা ও পিপাসা নিবারণে রোজা হয় না। এটা রোজার অবলম্বন মাত্র। ত্যাগ, নিষ্ঠা, সংযম, সহানুভূতি ও তাকওয়ার যে শিক্ষা রোজা দেয় তা অর্জন ও বাস্তবায়ন করতে না পারলে সে রোজা অন্তঃসারশূন্য থেকে যাবে। তাতে বাহ্যিক রোজা পালন হলেও আল্লাহর কাছে এটি কবুল হবে না।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট