চট্টগ্রাম রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫

সর্বশেষ:

সিয়াম ও কিয়ামের মধ্য দিয়ে রমজান পালন ঈমানের দাবি

রায়হান আজাদ

২ মার্চ, ২০২৫ | ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মুসলিম উম্মাহর ঘরে ঘরে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে হাজির হলো পবিত্র রমজানুল মোবারক। এ মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে কুরআনুল কারিম ও হাদিসে রসুলে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। এ মাসে প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক, সুস্থ ও মুকিম মুসলিম নর-নারীর জন্য রোজা পালন করা ফরজ-বাধ্যতামূলক।

 

রোজা ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ। সোবহি সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ইসলামী শরীয়তের বিধান মোতাবেক যাবতীয় আহার, পানাহার ও স্বামী-স্ত্রীর যৌনাচার থেকে নিয়্যত সহকারে বিরত থাকার নামই হলো রোজা। আল্লাহ পাক রোজার হুকুম সম্পর্কে আল কোরআনে ইরশাদ ফরমাইয়েছেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করা হয়েছে যেভাবে ফরজ করা হয় তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর; উদ্দেশ্য হলো তোমরা আল্লাহভীতির নীতি অবলম্বন করবে” (সুরাতুল বাকারা:১৮৩)।

 

আল্লাহ তা‘য়ালা এ মাসের দিবাভাগে উপবাস ফরজ করে দিয়েছেন আর রাতের বেলায় সালাতুত তারাবীহকে সুন্নাত করে দিয়েছেন আর যে ব্যক্তি এ মাসে সানন্দে স্বেচ্ছায় কোন একটি নেক আমল করবে সে অন্য মাসে ফরজ আদায়ের সাওয়াব পাবে আর যে ব্যক্তি এ মাসে একটি ফরজ আদায় করবে আল্লাহ পাক তাকে অন্য মাসে ৭০টি ফরজ আদায়ের সমতুল্য সওয়াব দান করবেন” (মেশকাত শরীফ)।

 

মহানবী সা. আরো বলেছেন, “যখন রমজান মাস আসে তখন জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানকে শৃঙ্খলিত করে রাখা হয়।

 

মাহে রমজানে মহাগ্রন্থ আল কুরআনসহ সকল আসমানি গ্রন্থ ও ছহিফা নাজিল হয়। যাকাত-ওশর, দান-সাদকা, সবর, সহানুভূতি ও সহমর্মিতা প্রদর্শনের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি অর্জন সম্ভব হয় এ মাসে। রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মাসে নিজেও বেশি বেশি ইবাদত করতেন। তিনি ঘোষণা দিতেন- “ঈমান ও ইহতেসাবের সাথে যে ব্যক্তি রোজা রাখবে তার অতীতের গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হবে।”

 

হে রব্বুল আলামীন! ঈমান ও ইহতেসাবের সাথে আমাদেরকে মাসব্যাপী সিয়াম সাধনায় শারীরিক ও মানসিক শক্তি দান করুন। আমাদের যাবতীয় গুনাহ মাফে এ রমজানকে কাজে লাগাবার তৌফিক দিন, আমিন।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট