চট্টগ্রাম সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫

সর্বশেষ:

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ফের মাইন বিস্ফোরণ, চোরাকারবারি যুবক আহত

নাইক্ষ্যংছড়ি সংবাদদাতা

১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৭:০৯ অপরাহ্ণ

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মি (এএ) কর্তৃক দখলকৃত আমতলী ক্যাম্প এলাকায় আরকান আর্মির পুঁতে রাখা স্থল মাইন বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।

 

আহত ব্যক্তির নাম সিরাজুল ইসলাম (৩৩)। তিনি রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন কচ্ছপিয়া পাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে বলে জানা গেছে।

 

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার দৌছড়ি সীমান্ত পিলার ৪৯/৫০ এর মধ্যবর্তী এলাকা শূন্য লাইন (নোম্যান্সল্যান্ডের) দিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চোরাই গরু আনতে গেলে আহত হন সিরাজুল।

 

বিস্ফোরণে তার বাম পায়ের হাঁটুর নিচের অংশে ক্ষতবিক্ষত হয় বলে জানা যায়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারের একটি হাসপাতালে দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

 

এ ব্যাপারে দৌছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইমরান বলেন, মাইন বিস্ফোরণে এক যুবক গুরুতর আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। তাকে কক্সবাজারের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গত কয়েক মাস ধরে উপজেলার দৌছড়ি সীমান্তের লেম্বুছড়ি এবং নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের আশারতলী, ফুলতলী কয়েকটা পয়েন্টে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন মিয়ানমার থেকে শত শত চোরাই গরু নিয়ে আসছে। এদিক দিয়ে খাদ্যপণ্য মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যাচ্ছে বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে।

 

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম জানান, মাইন বিস্ফোরণে সিরাজুল ইসলাম নামে একজন আহত হওয়ার খবর শুনেছি। সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বিষয়টি বিজিবি দেখছেন।

 

উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারি (শুক্রবার) দৌছড়ি লেম্বুছড়ি ও নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ফুলতলী ৪৭, ৪৮ ও ৪৯ পিলার এলাকায় পৃথকভাবে মাইন বিস্ফোরণ ঘটনায় গুরুতর আহত হন লেম্বুছড়ি এলাকার মুহাম্মদ রাসেল ও নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ফুলতলী সীমান্ত এলাকার আলী হোসেন ও আরিফ উল্লাহ। (৩ ফেব্রুয়ারি) সোমবার নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ফুলতলী সীমান্ত ৪৮ পিলার এলাকায় মাইন বিস্ফোরণ ঘটনায় গুরুতর আহত হন রামু উপজেলার মৈষকুম এলাকার আহাম্মদ রশিদের ছেলে তরিক উদ্দিন।

 

 

পূর্বকোণ/শামীম/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট