চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫

সর্বশেষ:

দখল-দূষণে সংকুচিত হচ্ছে কাপ্তাই হ্রদ

সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, রাঙামাটি

১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১২:৫৬ অপরাহ্ণ

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদ বাংলাদেশের কর্ণফুলী হ্রদ (৭২৫ বর্গকিলোমিটার) যা বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদ নামে পরিচিতি পেয়েছে। ১৯৫৭-১৯৬২ সালে রাঙামাটির কাপ্তাই নামক স্থানে কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হলে সৃষ্টি হয় এ বিশাল হ্রদ। এর গড় জলায়তন ৫৭০০০ হেক্টর, গভীরতা সর্ব্বোচ্চ ৩৬.০০ মিটার এবং গড় গভীরতা ৯.০০ মিটার। দৈর্ঘ্য ৭৮ কিলোমিটার।

 

প্রাকৃতিক সম্পদ ও সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ কাপ্তাই হ্রদ দেশের অভ্যন্তরীণ উন্মুক্ত জলাশয়ের মধ্যে সর্ববৃহৎ। ১৯৬২ সালে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের মূল উদ্দেশ্য নিয়ে বর্তমানের রাঙামাটি জেলার ৮টি ও খাগড়াছড়ি জেলার ২টি সহ মোট ১০টি উপজেলায় বিস্তৃতি নিয়ে ৭২৫ বর্গকিলোমিটার জল আয়তনের কাপ্তাই হ্রদের সৃষ্টি হলেও এতে মৎস্য উৎপাদন, জলপথে যাতায়াত, কৃষিজ পণ্য উৎপাদন ও পরিবহন, মৎস্যজীবী, মৎস্যব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনসাধারণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখছে। এই হ্রদ ঘিরে বর্তমানে সংযুক্ত হয়েছে পর্যটন শিল্প।

 

রাঙামাটিতে পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ এই কাপ্তাই হ্রদ হলেও এজেলায় বসবাসকারী হাজার হাজার মানুষের আয় উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন হলো মৎস্য শিকার, মৎস্য পরিবহন ও বাজারজাতকরণ। কিন্তু কাপ্তাই হ্রদে প্রতিদিন হাজার হাজার জেলে কর্তৃক বিভিন্ন নিষিদ্ধ জাল, কিছু বৈধ জাল দিয়ে নির্বিচারে মৎস্য শিকারের ফলে হ্রদের রুই জাতীয় (রুই, কাতল, মৃগেল, কালিবাউস ও মহাশোলসহ সামগ্রিকভাবে মেজর কার্প মাছের মজুদ মারাত্মক ক্রমাবনতি হয়েছে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের রাঙামাটি নদী উপকেন্দ্র সূত্র জানা গেছে, কর্ণফুলী নদীর উপর বাঁধ দেওয়ার ফলে সৃষ্ট কাপ্তাই হ্রদে ১৯৬৫-১৯৬৬ সালে রুই জাতীয় মাছের প্রাপ্যতা ছিল ৮১% বর্তমানে ২০২১-২০২২ সালে কমে ০.৮৪% শতাংশ হয়েছে।

 

অপরদিকে, ছোট মাছের প্রাপ্যতা ১৯৬৫-১৯৬৬ সালে ছিল ৮% শতাংশ, যা বর্তমানে ২০২১-২০২২ সালে বেড়ে ৯০.৪০% শতাংশ হয়েছে। বর্তমানে রাঙামাটির বিভিন্ন সরকারি এবং সামাজিক সভা সেমিনারে কাপ্তাই হ্রদে রুই জাতীয় মাছের মজুত কমে সর্বনিম্ন হওয়ার বিষয়টি আলোচনা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ বছরের কয়েক মাস জেলেদের জালে ছোট বড় সকল প্রকার মাছ ধরা প্রায় সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছে যায়।

 

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের রাঙামাটি নদী উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক হায়দার ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. খালেদ রহমান পূর্বকোণকে জানান, কাপ্তাই হ্রদ দেশীয় মৎস্য প্রজাতির এক বৈচিত্র্যময় ও সমৃদ্ধ জলভাণ্ডার। গবেষণার সর্বশেষ তথ্য মোতাবেক এ হ্রদে ৪ প্রজাতির চিংড়ি, এক প্রজাতির কচ্ছপ ও ৭৫ প্রজাতির মিঠা পানির মাছ রয়েছে। এর মধ্যে দেশীয় প্রজাতির মাছ হচ্ছে ৬৮টি এবং বাকি ৭টি বিদেশি প্রজাতির। বিগত চার দশকের ব্যবধানে হ্রদের মৎস্যকুলের প্রজাতি বিন্যাসে অনেক পরিবর্তন হয়েছে।

 

হ্রদ সৃষ্টির ফলে নদীগুলোর খরস্রোত পূর্বের তুলনায় অনেকাংশে কমে গিয়েছে। নদীগুলোর এ বৈশিষ্ট্যগত পরিবর্তন মৎস্যকুলের প্রজনন ও প্রজাতি বিন্যাসসহ সামগ্রিক জলজ পরিবেশের উপর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। বর্তমানে ৪২টি প্রজাতির মাছ এ হ্রদ থেকে বাণিজ্যিকভাবে আহরিত হচ্ছে। এদের মধ্যে চাপিলা, কেচকি, মলা, কাটা মইল্যা, আইড়, গজার, শোল, বাটা, ফলি, তেলাপিয়া ইত্যাদি অন্যতম। অবশিষ্ট প্রজাতিগুলোর বাণিজ্যিক গুরুত্ব না থাকলেও জীবতাত্ত্বিক গুণাগুণ ও অন্যান্য দিক বিবেচনায় হ্রদে সামগ্রিক মৎস্যকুলের অবস্থানে এদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

 

মৎস্য প্রজাতিগুলোর গ্রুপভিত্তিক পরিবর্তনের ক্রমধারা আশংকাজনক দিকে হচ্ছে মূল্যবান রুই জাতীয় মাছের ক্রমাবনতি। ১৯৬৫-৬৬ সালে রুই, কাতল, মৃগেল, কালিবাউস ও মহাশোলসহ সামগ্রিকভাবে মেজর কার্প ছিল মোট মৎস্য অবতরণের প্রায় ৮১.৩৫%; যা ক্রমশ হ্রাস পেয়ে ২০২১-২০২২ সালে কমে ০.৮৪% শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে ছোট মাছ বিশেষ করে চাপিলা, কাচকি, মলা ইত্যাদির পরিমাণ ১৯৬৫-৬৬ সালের রেকর্ডকৃত ৮% থেকে বেড়ে বর্তমানে ২০২১-২০২২ সালে প্রায় ৯০.৪০% শতাংশ হয়েছে, যা উদ্বেগের বিষয়।

 

রাক্ষুসে প্রজাতির মাছের সামগ্রিকভাবে ব্যাপক কোনো পরিবর্তন না হলেও এদের মধ্যে কিছু মূল্যবান প্রজাতির বড় আকারের মাছ যেমন- চিতল, বোয়াল, আইড়, গজার ইত্যাদি সম্প্রতি আগের মতো বড় আকারের পাওয়া যায় না। ছোট মাছের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ও রুই জাতীয় মাছের আশংকাজনক হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচ্য। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কম বৃষ্টিপাত, হ্রদের সঙ্গে সংযুক্ত নদীগুলোর নাব্যতা হ্রাস, হ্রদের পানির গভীরতা কমে যাওয়া এবং রুই জাতীয় মাছের প্রধান চারটি প্রজননস্থল (কাসালং চ্যানেল, মাইনিমুখ; বরকল চ্যানেল, জগন্নাথছড়ি; চেংগী চ্যানেল, নানিয়ারচর; রিংকং চ্যানেল, বিলাইছড়ি) নষ্ট হয়ে যাওয়া, নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার, প্রজনন মৌসুমে পোনা মাছ ও মা মাছ নিধন, শুষ্ক মৌসুমে অধিক মাছ আহরণ ইত্যাদি কারণে হ্রদের জীববৈচিত্র্য হ্রাস পাচ্ছে।

 

রাঙামাটি বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেছেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ কাপ্তাই হ্রদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। এর পরিবেশ সুরক্ষায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়, পর্যটন মন্ত্রনালয়, হ্রদ ও হ্রদ সংশ্লিষ্ট নদীগুলোর প্রয়োজনীয় স্থানে ড্রেজিং করতে হবে এজন্য নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়, হ্রদের তীর সংরক্ষণের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, মৎস্য মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। এর সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের যুক্ত করা যেতে পারে। তাঁরা এখানে দেশীয় মাছের উৎপাদন কীভাবে বাড়ানো যায়, পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে কিনা, আরো অনেক বিষয়ে গবেষণা করতে পারে। তিনি জানান, হ্রদের ভূমির মালিক ভূমি মন্ত্রণালয় এবং হ্রদের পানির মালিকানা কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বলা যায়। তিনি কাপ্তাই হ্রদেও বিষয়ে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের রাঙামাটি নদী উপকেন্দ্রের গবেষণা কার্যক্রম আরো বাড়ানোর ওপর জোর দেন।

 

মৎস্য জীবৈচিত্র্যে পরিবর্তনের ধারায় কাপ্তাই হ্রদে প্রাধান্য বিস্তারকারী মাছ হল, কেচকি, চাপিলা, কাঁটা মইল্যা/চান্দা, তেলাপিয়া, কালিবাউস, আইড়, লাসুবাটা, ফলি ও মলা মাছ। ঘটনাক্রমে সংযোজিত মাছের মধ্যে রয়েছে, গ্রাসকার্প, সিলভার কার্প, কার্পিও, রাজপুঁটি, তেলাপিয়া, মহাশোল, আফ্রিকান মাগুর, থাই পাংগাস, সাকার মাউথ ক্যাটফিস। ইতোমধ্যে বিলুপ্ত মাছ হল, সিলন, দেশি সরপুঁটি, মোহিনী বাটা, দেশি পাঙ্গাস, মহাশোল, মধু পাবদা, ফাইস্যা। বিলুপ্তপ্রায় মাছের মধ্যে রয়েছে, ঘনিয়া, খরশুলা, পোয়া, চ্যাং, বামস, ঘাউরা ও বাঘাইড়। এছাড়া ক্রম হ্রাসমান মাছের প্রজাতির মধ্যে রয়েছে, রুই, কাতলা, মৃগেল, বাঁচা, পাবদা, চিতল, দেশি মাগুর, বাতাসি ট্যাংরা ও বাটা মাছ।

 

চ্যালেঞ্জসমূহ :
কাপ্তাই হ্রদে রুই জাতীয় মাছ ক্রম হ্রাস হওয়ার মূল কারণের মধ্যে রয়েছে, কাচকি জাল বা মশারি জাল। কাপ্তাই হ্রদ সৃষ্টির পর অনেক বছর পর্যন্ত হ্রদে কাচকি জালের ব্যবহার ছিলনা, ফলে তখন হ্রদে বেশি মজুত ছিল রুই জাতীয় মাছ। পরে যখন এখানে মাছ ব্যবসায়ীরা কেচকি জাল/মশারি জাল দিয়ে জেলেদের মাধ্যমে মাছ আহরণ শুরু করল, তখন থেকেই কাপ্তাই হ্রদে রুই জাতীয় মাছের মজুত কমতে কমতে ১% শতাংশের নিচে নেমে গেছে। কেচকি জালের এক টানে হ্রদের ২৭ থেকে ৩২ প্রজাতির মাছ ও মাছের পোনা ধরা পড়ে। কেচকি জালের দৈর্ঘ্য ৩৭৫-২৭০০ ফুট, কোন কোন জাল ৩৫০০ ফুট পর্যন্ত হয়। প্রস্ত ৪২-৭৫ ফুট। অনেক সময় প্রস্ত আরো বেশি হয়ে থাকে, ফলে হ্রদের উপর থেকে হ্রদের তলদেশের যা থাকে সব কেচকি জালের ভিতর উঠে আসে। এছাড়া বিশাল হ্রদ এলাকার বিভিন্ন স্থানে অনেক জেলে গোপনে কারেন্ট জাল ব্যবহার করে মৎস্য শিকার করে। বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন প্রতি বছর ৩/৪ মাস মাছ শিকার বন্ধ থাকাকালীন সময়ে রুই জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করে।

 

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটির ব্যবস্থাপক কমান্ডার আশরাফুল আলম ভুইয়া পূর্বকোণকে জানান, বিগত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে রাঙামাটির অধীন ৬টি অবতরণ কেন্দ্রে মোট ৭৬৩৭ মেট্রিকটন মাছ অবতরণ হয়, এতে ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে অবতরণকৃত মাছ থেকে গত ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে মোট শুল্ক আদায় হয়েছে ১৫ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা।

 

তিনি জানান, বিগত মৎস্য শিকার বন্ধ থাকাকালীন সময়ে নিজস্ব হ্যাচারিতে উৎপাদিত ৫৬ টন মাছের (রুই, কাতলা ও মৃগেল) পোনা হ্রদে অবমুক্ত করা হয়েছে। এ পোনাগুলো উৎপাদনে কর্পোরেশনের খরচ হয়েছে ১ কোটি টাকা। এদিকে, ব্যবসায়ীদের অনেকে জানান, পোনা অবমুক্তের প্রায় ১ মাসের মধ্যে হ্রদে মৎস্য শিকারের অনুমতি দেয়া হয়, এতে কেচকি জালের মাধ্যমে পোনাগুলি বড় হওয়ার আগেই জেলেরা ধরে পেলে, এতে পোনা অবমুক্ত করে রুই জাতীয় মাছের মজুত বাড়ানোর উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। ফলে পোনা অবমুক্ত করে কোটি টাকা হ্রদের জলে অপচয় হয় এবং এতে কাক্সিক্ষত রুই জাতীয় মাছের মজুতও বাড়ছে না বলে তাঁরা জানান।

 

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক রাঙামাটি পার্বত্য জেলা ইজারাদাতার কাছ থেকে ৫৫ লক্ষ টাকা ইজারা প্রদান করে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের (ইজারা গ্রহিতা) পক্ষে ব্যবস্থাপক বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা কাপ্তাই হ্রদ এক বছরের জন্য ইজারা নিয়েছে।

 

কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনাসমূহ :

বিশেষজ্ঞদের ধারণা মতে সঠিক ব্যবস্থাপনা কৌশল উন্নয়নের মাধ্যমে কাপ্তাই হ্রদ থেকে প্রতিবৎসর ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার কোটি টাকার মৎস্য উৎপাদন সম্ভব। এজন্য কেচকি বা মশারি জাল বন্ধ করতে হবে অথবা মশারি জালের সাইজ বর্তমান থেকে অনেক ছোট করতে হবে। প্রজনন সময়ে মৎস্য শিকার ৬ মাস বন্ধ রাখতে হবে। ব্যবসায়ীদের মতে বছরে অন্তত দুবার মৎস্য শিকার বন্ধ রাখতে হবে। মাছের পোনা অবমুক্ত করার পর মৎস্য শিকার ৪ মাস বন্ধ রাখতে হবে। মৎস্য শিকার বন্ধ কালীন সময়ে লেক নির্ভর মৎস্যজীবীদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান বা সহায়তা প্রদান করা। সারা বছর পানি থাকে হ্রদের এমন স্থানে অধিক সংখ্যক অভয়াশ্রম স্থাপন করা। জাঁক ব্যবহার করে মৎস্য আহরণ বন্ধ করা। পলি ভরাট হয়ে যাওয়া প্রজননক্ষেত্র ও চলাচল পথ পুনঃখনন করা। রুই জাতীয় মাছ রক্ষার্থে বড়শি দিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা। হ্রদ ব্যবস্থাপনায় ড্রোনসহ সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার এবং এ কাজে লোকবল বৃদ্ধি করা।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট