চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ফিগো ফ্যাশন লিমিটেডের শ্রমিকরা। বকেয়া বেতনের দাবিতে তারা এ কর্মসূচি পালন করে। এতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বন্ধ থাকে যান চলাচল। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী সাধারণ, রোগী ও এইচএসসি (মডেল টেস্ট) পরীক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) সকাল থেকে উপজেলার শাকপুরা বড়ুয়া টেক এলাকার ফিগো ফ্যাশন লিমিটেড গার্মেন্টসের সামনে আরাকান সড়কে জড়ো হতে থাকেন শ্রমিকরা। তারা কারখানায় প্রবেশ করতে চাইলে শিল্প পুলিশ তাদের বাধা দেয়। বাধা পেয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আরকান সড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। এসময় পুলিশের সাথে বাক-বিতণ্ডায় লিপ্ত হন তারা। বোয়ালখালী থানা পুলিশের সদস্যরা যান চলাচল স্বাভাবিক করতে শ্রমিকদের একাধিকবার বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন। দীর্ঘ আড়াইঘণ্টা পর দুপুর ২টার দিকে শ্রমিকদের ফিগো কারখানার সামনে সরিয়ে নিলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান করছে।
এর আগে গতকাল সোমবারও শ্রমিকরা আরাকান সড়ক অবরোধ করেছিলেন। ওইদিন পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শ্রমিকরা জানান, গত এপ্রিল মাসের বেতন বকেয়া রেখে গার্মেন্টসটি বন্ধ করে দেয়। এরপর আজকাল করে গড়িমসি করছে কারখানার মালিকপক্ষ। এর মধ্যে শতশত শ্রমিককে ছাঁটাই করে দিয়েছেন মালিকপক্ষ। ফলে তারা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছেন। এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সুরাহা করেননি মালিকপক্ষ।
চট্টগ্রাম ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফজলুল করিম সেলিম পূর্বকোণকে বলেন, ‘নিরাপত্তার জন্য গতকাল থেকে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মালিকপক্ষের সাথে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কথা বলেছিলেন। মালিকপক্ষ জানিয়েছেন, ১৩ জুন বকেয়া বেতনের ২০ শতাংশ, ১৫ জুন ৩০ শতাংশ ও ২০ জুন ৫০ শতাংশ শ্রমিকদের পরিশোধ করবেন। কিন্তু শ্রমিকরা তা মানছেন না।
তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে আধা ঘণ্টার মতো সড়ক অবরোধ করে রেখেছিলো। পুলিশ তাদের সরিয়ে দিলে তারা কারখানা সমানে অবস্থান করছেন। থানা পুলিশ ছাড়াও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের ৪০ জন সদস্য জানমাল রক্ষায় কারাখানার সামনে মোতায়েন রয়েছেন।
পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ