চট্টগ্রামের পটিয়া ও চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) উদ্দেশে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘এক কোদাল মাটি কেটে নিলেও আইনে সর্বোচ্চ যে শাস্তি আছে, তা নিশ্চিত করতে হবে। পাহাড় কাটলে শরীরে আঘাত লাগছে—এই অনুভূতি নিয়ে কাজ করবেন। কোনো ধরনের অবহেলা দেখলে পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।
বৃহস্পতিবার এক শুনানিতে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব কথা বলেন। পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আপস নয় বলেও উল্লেখ করেন হাইকোর্ট।
‘এস্কেভেটর দিয়ে পটিয়ায় পাহাড়-টিলা সাবাড়’ শিরোনামে গত ২১ মে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি নজরে এলে সেদিন আদালত স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত প্রতিবেদনসহ চট্টগ্রামের পটিয়া ও চন্দনাইশের ইউএনওকে বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থিত হতে বলা হয়। একই সঙ্গে ঘটনার বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ তৌহিদ, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি মেম্বার আনোয়ার পারভেজ, স্থানীয় মোহাম্মদ হারুন, জসীম, জাহিদুল ইসলাম ও মহিম উদ্দীনকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।