চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

‘পাওনা টাকার জন্য’ নির্যাতনের পর লাশ উদ্ধার, আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেপ্তার

রাউজান সংবাদদাতা

২৩ মে, ২০২৩ | ৪:৫৮ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের রাউজানে পাওনা টাকার জন্য একব্যক্তিকে আটকে রেখে নির্যাতনের পর মৃত্যুর অভিযোগে করা মামলায় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তার মুহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া (৫০) উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের মোকামীপাড়া গ্রামের খলিল দফদারের বাড়ির মৃত নুরুল আমিনের ছেলে। এছাড়া তিনি নোয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক।

 

মঙ্গলবার (২৩ মে) ভোরে অভিযান চালিয়ে নগরীর বাকলিয়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

র‌্যাব-৭ এর হাটহাজারী ক্যাম্প ও থানা পুলিশ সূত্র জানায়, ঘটনার পরদিন থানায় সুনির্দিষ্ট ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে আসামি করে নিহতের ছেলে কাজী মিনারুল আলম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন- একই গ্রামের ইউনুচ ড্রাইভারের বাড়ির মৃত সায়ের আহমদের ছেলে মুহাম্মদ ইউনুছ (৫০), খলিল দফাদারের বাড়ির মৃত নুরুল আমিনের ছেলে মুহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া (৫০), চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁওয়ের বাসিন্দা মুহাম্মদ আলমগীর (৫০) ও ফেরদৌস নামের একজনসহ অজ্ঞাত আরও সাত/আটজন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ প্রত্যেক আসামির বাড়িতে তাল্লাশি চালিয়েছে। তবে আসামিরা সবাই পরিবারসহ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

 

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, ভোরে আসামি মুহাম্মদ ইদ্রিস মিয়াকে থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। অন্য আসামিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

 

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নিহত কাজী দিদারুলের কাছ থেকে আসামিরা ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার দাবি করতেন। নানাভাবে পাওনা টাকা আদায়ে চাপ দিতেন ইউনুছ আর ইদ্রিসের নেতৃত্বে সাত/আটজন। এরপর গত আড়াই বছর আগে বাড়ি ছেড়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে চলে যান দিদারুল আলম (৫০)। তবে পরিবার বলছে মাসে মাসে দেনাশোধ করতে পাওনাদারদের কিস্তি হিসেবে টাকা দিতেন দিদারুল। এরমধ্যে গত শুক্রবার রাতে দিদারুলকে চট্টগ্রাম নগর থেকে তুলে আনেন ইউনুস আর ইদ্রিস মিয়াসহ সাত/আটজন। সবাই মিলে আটকে রাখেন ইউনুছের পাকা বাড়ির একটি কক্ষে। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার বিকেলে ইউনুছের পাকা বাড়ির ওই কক্ষে খাটের ওপর গলায় লুঙ্গি পেছানো ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে থানায় মামলা হয়।

পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট