চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

টেকনাফে আউশ ধানের চাষাবাদ বাড়াতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে ধান রোপন

টেকনাফ সংবাদদাতা

২১ মে, ২০২৩ | ৯:১১ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের টেকনাফে আউশ ধানের চাষাবাদ বাড়াতে সরকারের কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে ১ হাজার কৃষককে বীজ, সার এবং রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে ভর্তুকি দিয়ে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে ধান রোপন করা হয়েছে।

রবিবার (২১ মে) উপজেলার হ্নীলা পানখালীর ধান চাষী শহিদুল্লাহর মাঠে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে ধান রোপন কাজের উদ্বোধন করা হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা উপজেলা কৃষি অফিসার জাকিরুল ইসলাম, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার এসএম শাহজাহান, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার শফিউল আলম কুতুবী, মো. আনোয়ার হোসেন। এ সময় কৃষক ও স্থানীয় জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।

কৃষক শহিদুল্লাহ বলেন, শ্রমিক সংকটে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার কৃষকদের জন্য আবিষ্কৃত যুগান্তকারী যন্ত্র। সরকার চাষি জমিকে ৩ ফসলা জমিতে রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়ে চাষাবাদে ফসলাদি উৎপাদনে বিশাল ভর্তুকির মাধ্যমে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে দরিদ্র কৃষকদের পাশে থাকায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা যা টেলিভিশনে দেখছি তা এখন বাস্তবেই দেখা যাচ্ছে।

উপ-সহকারী কৃষি অফিসার শফিউল আলম জানান, এ বছর সরকার আউশ ধান চাষকে উৎসাহিত করার জন্য প্রনোদনার মাধ্যমে উপজেলার ১ হাজার কৃষককে ৫ কেজি করে বীজ ধান, ১০ কেজি এমওপি সার, ১০ কেজি ডিএপি সার দেওয়া হয়। খামার যান্ত্রিকীকরণে সরকার ৭০% ভর্তুকির মাধ্যমে কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করছে।

হ্নীলা পানখালীর শহিদুল্লাহ এবং হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মিনা বাজার নুরুল আমিনের পুত্র আলী আহমদকে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার সরবরাহ করা হয়েছে। অন্য কোন কৃষক চাইলে এই ভর্তুকি সুবিধা নিয়ে সরকার থেকে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার নিতে পারেন। এর ফলে স্থানীয় কৃষকেরা শ্রমিক সংকট দূর করে এই যন্ত্রের মাধ্যমে সহজে চাষাবাদ করতে পারবেন। মূলত ধান উৎপাদনের কৃষি জমিকে ৩ ফসলা জমিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে এবং আউশ ধানের আবাদ বৃদ্ধি করে এবং কৃষি যান্ত্রিকীকরণে কৃষকগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে আউশ ধান রোপন করা হয়। শ্রমিক সংকটের অভাব পূরণের জন্য যান্ত্রিকীকরণ গুরুত্বপূর্ণ। আউশ ধান আবাদের মাধ্যমে জমি তিন ফসলে আওতায় আসবে। হ্নীলা ইউনিয়নে অতীতে আউশ আবাদ হয়নি। আউশ আবাদের মাধ্যমে খাদ্যের চাহিদা পুরন হবে এবং কৃষক লাভবান হবে। তাই কৃষকদের প্রতি সরকারের এই মহৎ উদ্যোগ।

উপজেলা কৃষি অফিসার জাকিরুল ইসলাম জানান, সরকার দেশে খাদ্য উৎপাদন করে স্বয়ংসম্পূর্ণতা বাড়াতে কৃষকদের সর্বদা সার্বিক সহায়তা দিয়ে আসছে। কৃষকদের ভাগ্য পরিবর্তনে এই সহায়তা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট