চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

টেকনাফে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকরণ অভিযান, মাছ-জাল জব্দ

টেকনাফ সংবাদদাতা

২০ মে, ২০২৩ | ৯:১৬ অপরাহ্ণ

সাগরে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধের প্রথমদিনেই কক্সবাজারের টেকনাফে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ টাকার জাল ধ্বংস এবং ৯০ কেজি মাছ জব্দ করে স্থানীয় এতিমখানায় দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২০ মে) উপজেলার উপকূলে দিনভর এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

 

সামুদ্রিক মাছের নিরাপদ প্রজনন ও উৎপাদন বাড়াতে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সব ধরনের মাছ আহরণ ৬৫ দিনের জন্য বন্ধ হয়েছে। আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত বলবৎ থাকবে এ নিষেধাজ্ঞা।

 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় মৎস্য- ৪ শাখা এক প্রজ্ঞাপনে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপ-সচিব আনম নাজিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ এর ধারা ৩ এর উপধারা, (২) এর ক্ষমতাবলে বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুস্থ প্রজনন উৎপাদন, সংরক্ষন এবং টেকসই মৎস আহরণের জন্য প্রতিবছর ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন সকল প্রকার নৌযান কর্তৃক সব ধরনের প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

 

এ লক্ষ্যে টেকনাফ উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে এবং সদস্য সচিব টেকনাফ সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেনের সার্বিক সহযোগিতায় আজ সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে প্রচার অভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য টেকনাফ কোস্ট গার্ড বাহিনী, পুলিশ, নৌ-পুলিশ।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন সামুদ্রিক দূরত্ব ৬৬ কিলোমিটার। এরমধ্যে মৎস্যঘাটের সংখ্যা ৩৮টি, মংস্যজীবীর সংখ্যা ১০ হাজার ৪৫৪ জন ও জ্বালানি ব্যবসায়ী ৬০ জন। মাছ শিকার বন্ধের ৬৫ দিন তালিকাভূক্ত প্রতিজন মৎস্যজীবী জেলে ১ম ও ২য় দুই কিস্তিতে মোট চাউল পাবে ৮৫ কেজি। ১ম কিস্তিতে ৫৪ কেজি চাউল এবং ২য় কিস্তিতে পাবে ৩০ কেজি চাউল। ১ম কিস্তির চাউলের ডিও লেটার প্রক্রিয়াধীন। অতি শীগ্রই ছেলেদের হাতে চাউল পৌঁছে যাবে। মৎস্যজীবী জেলেরা এ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সকল মাছ প্রকার আহরণের নৌযান মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশে এবং নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করে ডাংগায় তুলে রেখেছে।

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট