চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস সংকট, দীর্ঘ অপেক্ষা চালকদের

নিজস্ব সংবাদদাতা, সীতাকুণ্ড

১৬ মে, ২০২৩ | ১:০২ অপরাহ্ণ

সীতাকুণ্ডের ফকিরহাট মোস্তফা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে গতকাল সোমবার বিকাল ৫টায় দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি মিনিবাস, ট্যাক্সি, প্রাইভেট কারসহ বিভিন্ন যানবাহন। চালকরা সবাই গ্যাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। একই চিত্র উপজেলার অন্যান্য সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনেও। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন গণপরিবহনের উপর নির্ভরশীল শিক্ষার্থী, কর্মজীবীসহ নানা পেশার মানুষ।

সরেজমিনে উপজেলাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঘুরে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় মোখাকে কেন্দ্র করে গত তিনদিন ধরে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখায় সীতাকুণ্ডের সর্বত্র গ্যাস সংকট দেখা দেয়।

পরিদর্শনকালে কথা হয় একজন প্রাইভেট কার চালক মো. শাহীনের সাথে। তিনি বলেন, গ্যাস সংকটে অধিকাংশ গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। তিনি রবিবার গভীর রাতে ফিলিং স্টেশনে অপেক্ষা করে সামান্য পরিমাণ গ্যাস পেয়েছেন।

সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট মা ফাতেমা সিএনজি ফিলিং স্টেশানের স্বত্বাধিকারী মো. শাহীদুল আলম মিন্টু জানান, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি গত তিনদিন ধরে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখায় তারা কোন পরিবহনে গ্যাস সরবরাহ করতে পারছেন না।

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে গ্যাস না থাকায় মহাসড়কে গণপরিবহন কম রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিস আদালত খোলা থাকায় মানুষকে কিছুটা দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হবে। তিনি আশা করছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আমিনুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে টার্মিনাল থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা গ্যাসবাহী একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মহেশখালী দিকে রওনা দিয়েছে। সেটি গ্যাস পাইপলাইনে পাঠানো শুরু হলে আবাসিক এলাকায় গ্যাস দেওয়া শুরু করবেন তারা। ফিলিং স্টেশন বা কারখানাগুলোতেও গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করতে চেষ্টা করছেন তারা।

পূর্বকোণ/এ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট