চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় স্কুলছাত্রকে পেটাল পুলিশ

কক্সবাজার সংবাদদাতা

২৩ মার্চ, ২০২৩ | ১২:২৪ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে রাতের আঁধারে সাদা পোশাকে সড়কে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় জাবের আহমদ জিসান নামের এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ঈদগাঁও থানার সাত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।

 

বুধবার (২২ মার্চ) সকাল ৯টায় এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁও অংশে অবরোধ করে জড়িত পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবি জানায়।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ঈদগাঁও থানায় কর্মরত সাত পুলিশ সদস্য সাদা পোশাকে স্থানীয় বাজারের ডিসি সড়কে পণ্যবাহী ট্রাক থামিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছিলেন। সে সময় ব্যস্ততম সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত এসএসসি পরীক্ষার্থী জিসান পুলিশের প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ জানায় এবং যানজটে জনভোগান্তির কথা বলে। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা ওই শিক্ষার্থীকে চড়-থাপ্পড় মারেন। সে নিজেকে আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে পুলিশ সদস্যরা একজোট হয়ে তার ওপর হামলা চালায়। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন জড়ো হয়ে জিসানকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

 

আহত জিসানের বন্ধু তৌহিদুল ইসলাম ও স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে ১ পুলিশ সদস্যকে আটক করে ঈদগাঁও থানায় সোপর্দ করেছে।

 

এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ বুধবার সকাল ৯টায় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁও স্টেশন এলাকা একদল শিক্ষার্থী অবরোধ করে রাখে। সে সময় মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম কবির ঘটনাস্থলে গিয়ে জড়িত পুলিশ সদস্যদের শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা।

 

ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম পূর্বকোণকে বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়া সাদা পোশাকে শিক্ষার্থী ও নিরীহ পথচারীদের ওপর পুলিশের হামলা জঘন্য অপরাধ। এমনটি ক্ষমতার চরম অপব্যবহারও বটে। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করেছে, তাদের শাস্তি হওয়া দরকার।’

 

জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ বলেন, ‘চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থীর ওপর পুলিশের হামলা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং গর্হিত অপরাধ। তারা বড় ২টি অপরাধ করেছে। প্রথমত চাঁদাবাজি, দ্বিতীয়ত শিক্ষার্থীর ওপর হামলা। জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।’

 

এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর, রামু ও ঈদগাঁও সার্কেল) মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

 

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট