চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

‘মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার দায়ে পৈতৃক ভিটা ছাড়তে বাধ্য হয়েছি’

কক্সবাজার সংবাদদাতা

২০ মার্চ, ২০২৩ | ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ

মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এ দেশের মানুষ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে স্বাধীনতাকামী জনগণ ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের বিরুদ্ধে। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তাই পিছিয়ে থাকেননি কক্সবাজারের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজনও। জাতির ক্রান্তিকালে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তারাও।

 

‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণায় বাংলার সর্বস্তরের জনগণ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়েছিল। কথা হয় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া মংপোছা চাকমার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘উখিয়া উপজেলার থাইংখালী থেকে আমরা একসঙ্গে তিন প্রতিবেশী মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। অপর দুজনের নাম- ছঅং চাকমা ও নারাইও চাকমা। আমরা বান্দরবানের লামায় যুদ্ধ করেছি। রাজাকার কর্তৃক অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। মৃত্যুর পথ থেকে কয়েকবার ফিরে এসেছি। এমনকি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার দায়ে নিজের পৈতৃক ভিটা ছেড়ে অন্যত্রে চলে আসতে হয়েছে। এখনো সেখানেই রয়েছি।’ সাবেক কক্সবাজার জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল আবছার বলেন, ‘কক্সবাজারে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে গেজেটভুক্ত আছেন মাত্র একজন। তার নাম মংইয়া রাখাইন। তিনি সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। পরে রামু উপজেলার বাসিন্দা হন।’

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট