চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

টেকনাফে একদিনে নারী-শিশুসহ ১২ জনকে অপহরণ

টেকনাফ সংবাদদাতা

১৬ মার্চ, ২০২৩ | ১১:২২ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের টেকনাফ বাহারছড়া ও হ্নীলায় ক্ষেতের কাজ, মাছ শিকার ও গরু চরানোর সময় নারী-শিশুসহ ১২ জনকে অপহরণ করেছে স্বশস্ত্র পাহাড়ি দুর্বৃত্তরা। অপহৃতরা গরীব হওয়ায় রাত ৮টার দিকে তাদের মুক্তি দেয়। তারা বাড়িতে পৌঁছলে মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্বজনেরা।

 

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকালে সীমান্ত জনপদ টেকনাফের উপকূলীয় ৫ নম্বর বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

 

অপহৃতরা হল- স্থানীয় জাফর আলমের ছেলে জানে আলম (৪৫), জাবেরুল ইসলাম (৩৫), বশির আহমদের ছেলে ফজল করিম (৩৮), ইসহাকের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (১৯), হায়দর আলীর পুত্র রশিদ আলম (৩০), জাফর আলম (৩৯) ও নজির আহমদের পুত্র আরিফ উল্লাহ (২২), পশ্চিম লেদার মোহাম্মদ ইসমাঈলের ছেলে শবি আলম (১৮), ছৈয়দ আলমের ছেলে ছৈয়দুল আমিন (১২), নুরুল বশরের ছেলে আবুল বশর (১০), পূর্ব লেদার মো. জামালের ছেলে মো. হাসান (১০) ও ইসমাঈলের স্ত্রী নুর নাহার (৪৫)।

 

জানা যায়, টেকনাফের বাহারছড়া ও হ্নীলায় ক্ষেতের কাজ করতে গেলে স্বশস্ত্র দুবৃর্ত্তদল ঘেরাও করে কৌশলে ধরে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। এসময় পালিয়ে আসা আমির ও রিফাত উল্লাহ বিষয়টি অপহৃতদের স্বজনদের অবহিত করে। তারা বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে থানা পুলিশকে অবহিত করেন। ফিরে আসা দুইজনকে পুলিশী হেফাজতে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। সেখানে তাদের বন্দুকের আঘাত ও কিল-ঘুষি মারার পর অপহৃত সকলেই একেবারে গরীব হওয়ায় রাত ৮টার দিকে মুক্তি দেয়। তারা বাড়িতে পৌঁছলে মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্বজনেরা।

 

বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মছিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘জাহাজপুরা গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় ৯ ব্যক্তি তাদের বিভিন্ন কাজে নিকটস্থ পাহাড়ে যান। এ সময় অপহরণকারীরা ৭ জনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ের ভেতরে নিয়ে যায়। বার বার এই এলাকা দিয়ে অপহরণের ঘটনা ঘটছে। যা খুবই দুঃখ ও উদ্বেগজনক’।

 

হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, ‘হ্নীলা ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে প্রায় সময়ে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা ঘটছে। যা খুবই দুঃখজনক এবং অমানবিক। আজও আমার ইউনিয়নের নারী-শিশুসহ ৫ জনকে অপহরণ করা হয়েছিল। তবে তারা অসহায় হওয়ায় মুক্তিপণ পাবে না দেখে রাতে ছেড়ে দিয়েছে।

 

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আলিম বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে অভিযান করেছি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে। আমরা অচিরে এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব’

 

 

পূর্বকোণ/জেইউ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট