চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে সন্দ্বীপে চার ডাকাত গ্রেপ্তার

সন্দ্বীপ সংবাদদাতা

১৩ মার্চ, ২০২৩ | ১১:৫৮ অপরাহ্ণ

সন্দ্বীপের চাঞ্চল্যকর ডাকাতি ঘটনার আটদিন দিন পর চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একটি ফোন কলের সূত্র ধরে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ডাকাতদের সনাক্ত করা হয়েছে। আটক ডাকাতদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত বেশকিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ে ডাকাতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের জানিয়েছেন সন্দ্বীপ থানা পুলিশ।

 

ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন সীতাকুণ্ড উপজেলার মো. নুর ইসলাম(৩০), মগধরা ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. মনির (৩৯) ও মো. করিম (২৮) এবং হারামিয়া ৪ নং ওয়ার্ডের মো. সেলিম (৩৬)।

 

গত ৫ মার্চ (রবিবার) ভোর রাত আনুমানিক সাড়ে চারটায় সংঘবদ্ধ একটি ডাকাতদল মগধরা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ব্যবসায়ী মুস্তাফিজুর রহমান আজিমের কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে  মারধর করে আহত করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও জিনিসপত্র লুট করে। ঘটনার পরপরই আজিমের পরিবারের পক্ষ থেকে বাদী হয়ে সন্দ্বীপ থানায় একটি ডাকাতির মামলা দায়ের করা হয়।

 

ডাকাতি ঘটনার পরপরই সন্দ্বীপ থানার পুলিশ অভিযানে নেমে সন্দেহভাজন ৩ জনকে আটক করে। পরে তাদের বিভিন্নভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদায় করার কথা জানায় পুলিশ। সন্দ্বীপ থানার পুলিশের সাথে চট্টগ্রাম জেলা ডিবি পুলিশের ওসি নূর আহাম্মদের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি টিম সন্দ্বীপ আসে। সন্দ্বীপ থানা ও জেলা ডিবি পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথমে একটি কলের সূত্র ধরে মনিরকে সনাক্ত করে।

 

পুলিশ জানায়, ডাকাতির ঘটনার দু’দিন পর ৭ মার্চ স্কুল শিক্ষিকা নিপা থেকে লুট করে আনা একটি স্যামসাং মোবাইল ফোনে মনির তার নিজের সিমকার্ড ব্যবহার করে একটি কল করে। সেই কলের সূত্র ধরে তাকে সনাক্ত করে সন্দ্বীপ থানার পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে রবিবার মগধরা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে আটক করে। পরে মনিরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরো তিন জনকে আটক করা হয়। আটকৃতদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ ডাকাতি হওয়া একটি মোবাইল ফোন, স্বর্ণের আংটি, কানের দুল ও নাকের ফুলসহ তালা ভাঙ্গার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করে।

 

সন্দ্বীপ থানা পুলিশের ওসি শহীদুল ইসলাম জানান, ডাকাতি ঘটনার পরপরই সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করা হয়েছিল। তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ডাকাতদের সনাক্ত করা হয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ থেকে প্রাপ্ত তথ্য, তাদের রেকর্ড, ডাকাতির সময় এবং সমসাময়িক ঘটে যাওয়া চুরির ঘটনা পর্যালোচনা করে ধারণা করা হচ্ছে তারা চুরি করার উদ্দেশ্যেই ঘরে ঢুকতে চেয়েছিল। ঘরের লোকজন টের পাওয়ায় তাদের জিম্মি করে ব্যপক মারধর করে ডাকাতি করেছে। এই বিষয়ে এখনো তদন্ত চলছে।

 

পূর্বকোণ/নরোত্তম/রাজীব/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট