চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পেকুয়ায় পাহাড়ি বসতবাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় নারীসহ আহত ৩

চকরিয়া-পেকুয়া সংবাদদাতা

১৩ মার্চ, ২০২৩ | ১১:২৯ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের পেকুয়ায় টইটং ইউনিয়নের পূর্ব টইটং খলিফামোড়া নামক পাহাড়ি এলাকায় একটি বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। এ সময় মুখোশ পরিহিত অজ্ঞাত ডাকাতদলের হামলায় নারীসহ একই পরিবারের ৩ জন আহত হয়েছে। ১২ মার্চ (রবিবার) দিবাগত রাত ১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

 

আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ৩ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় এদের চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়। আহতরা হলেন পূর্ব টইটং খলিফামোড়া এলাকার মৃত ইমাম শরীফের পুত্র শামশুল আলম (৭০), ছেলে টইটং বাজারের বীজ ব্যবসায়ী মো. জোনাইদ (৩০), শামশুল আলমের স্ত্রী খোরশিদা বেগম (৫০)।

 

পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনার দিন রাতে ও পরের দিন ১৩ মার্চ (সোমবার) সকাল ১০টার দিকে দু’দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। খবর পেয়ে টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মনজুর আলম ঘটনাস্থলে যান ।

 

স্থানীয়রা জানান, ঘটনার দিন দিবাগত রাত ১ টার দিকে টইটং ইউনিয়নের পূর্ব টইটং খলিফা মোড়ায় শামশুল আলমের বসতবাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। বসতবাড়ির প্রধান ফটকের নিকটে জানালা ভেঙ্গে ডাকাতরা ভেতরে ঢুকে পড়ে। ৬/৭ জনের মুখোশ পরিহিত ডাকাত দল বসতবাড়ির মালিক শামশুল আলমকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এক পর্যায়ে বাড়িতে থাকা নারী-পুরুষদের জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মুঠোফোনসহ বিভিন্ন মূল্যবান দ্রব্যাদি নিয়ে যায়। এ সময় শামশুল আলম, তার ছেলে জোনাইদ ও স্ত্রী খোরশিদা বেগমকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে।

 

শামশুল আলমের মেয়ে টইটং উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী আয়েশা বেগম জানান, আমরা সবাই রাতে ঘুমিয়ে পড়ছিলাম। রাত ১ টার দিকে দরজায় প্রচন্ড আওয়াজ হয়। ডাকাতরা ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। আমরা ভয়ে আতংকিত হয়। তবে আমরা খুলে দেয়নি। পরে তারা মাটির দেওয়াল ঘরের জানালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করেছে। প্রথমে আমার আব্বুকে আঘাত করে। তিনি প্রাণ বাঁচাতে আকুতি করছিলেন। এরপর আমার মা ও ভাই জোনাইদকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। ভেতরে ৬-৭ জনকে মুখোশ পরা অবস্থায় দেখেছি। বাহিরেও আরো কয়েকজন ছিল। আমি ও আমার বোন এনির এবং আমার মা’সহ তিনজনের দেড় ভরির মতো স্বর্ণালংকার ছিল। সেগুলি নিয়ে যায়। টইটং বাজারে আমাদের বীজ ও ভোগ্যপণ্য বিক্রির দোকান রয়েছে। রমজানের আগে দোকানে মালামাল মজুদ করতে টাকা জোগাড় করা হয়। সেই আড়াই লক্ষ টাকাও তারা নিয়ে গেছে।

 

ইউপি সদস্য মনজুর আলম জানান, আমি সকালে গিয়েছিলাম। বাড়িটি পাহাড়ি এলাকায়। এটি নিশ্চিত ডাকাতি। দেখে আমি নিজেও আতংকিত হয়েছি। পেকুয়া থানার এস,আই রইস উদ্দিন জানান, আমরা দু’বার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। আশা করছি দ্রুত সময়ে এ ঘটনার প্রকৃত ক্লু উদঘাটন হবে। টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, আসলে এটি ডাকাতির ঘটনা। একই পরিবারের ৩ জনকে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়েছে। জানালা, দরজা কেটে ফেলা হয়েছে। স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা লুট হয়েছে।

 

পেকুয়া থানার ওসি ওমর হায়দার জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে বলা হয়েছে লিখিত অভিযোগ দিতে। তবে ওসি ওই ঘটনাটি ডাকাতি নয় বলে দাবি করেছেন।

 

পূর্বকোণ/রাজীব/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট