চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

লামায় প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

বান্দরবান সংবাদদাতা

৬ মার্চ, ২০২৩ | ১১:৪৭ অপরাহ্ণ

বান্দরবানের লামার ফাঁসিয়াখালীর হারগাজা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিনের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে প্রাক্তন শিক্ষার্থী, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা।

 

সোমবার (৬ মার্চ) বিকাল ৪টায় স্কুল মাঠে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় হামলাকারী নুরুল ইসলাম প্রকাশ কালু সোনাসহ সকল হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করার জোর দাবি জানানো হয়।

 

জানা যায়, গত ৪ মার্চ স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে শিক্ষক মো. রুহুল আমিনের ওপর হামলা করা হয়। হামলার ঘটনা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে কিংবা মামলা করলে প্রধান শিক্ষক ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে হত্যা করে লাশ গুম করারও হুমকি দেয় অভিযুক্তরা।

 

এদিকে এ ঘটনায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫-৬ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় এজাহার দাখিল করেছে রুহুল আমিন।

 

অভিযুক্তরা হল- হারগাজা গ্রামের বাসিন্দা মৃত কবির আহমদের ছেলে নুরুল ইসলাম প্রকাশ কালা সোনা (৩৫), চকরিয়া উপজেলার ডুলহাজারা ইউনিয়নের বৈরাগিরখিল গ্রামের বাসিন্দা মৃত মো. ইসমাইলের ছেলে হুমায়ুন কবির (৩২), নতুন পাড়ার মৃত কবির আহমদের ছেলে ছৈয়দ নুর (৪৬), সাশুল আলম (৫০) ও নুরুল হুদা (৪৬), হারগাজা প্রামের বাসিন্দা মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে শহিদুল ইসলাম বাবুল (৩০) ও নুরুল ইসলামের ছেলে কবির আহাম্মদ (৩৮)।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, হারগাজা গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বাবুল ও প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিনের মধ্যে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে শহিদুল ইসলাম বাবুলের নেতৃত্বে শিক্ষক মো. রুহুল আমিনের ওপর আগেও বিভিন্ন সময় হামলা ও ভয়ভীতি দেখায়। সর্বশেষ শুক্রবার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শিক্ষকের ওপর হামলা চালায়।

 

এ সময় প্রধান শিক্ষককে মারধরের পাশাপাশি স্কুলের নামে ব্যাংকে এফডিআরের জন্য রাখা ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এগিয়ে গেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।

 

প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিন বলেন, জেলা প্রশাসক আযোজিত ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতার বিষয়ে কাজ করতে শুক্রবার সকালে স্কুলে যাই। কাজ শেষে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে অভিযুক্তরা আমার গাড়ি গতিরোধ করে হামলা চালায়। এতে আমি আহত হই।

 

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম প্রকাশ কালা সোনা বলেন, মো. রুহুল আমিন আমার জমির উপর দিয়ে তার ধানের জমিতে সেচের পানি নিয়ে গেছেন। এতে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাধা দিলে প্রধান শিক্ষকের সাথে আমার তর্কবিতর্ক হয়।

 

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট