৬ মার্চ, ২০২৩ | ১:০৭ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
চন্দনাইশের কাঞ্চননগরে দুই কিলোমিটারে ইটভাটা রয়েছে ১৭টি। উচ্চ আদালতের আদেশ না মেনে এসব ইটভাটা তৈরি করা হয়েছে এমনটি দাবি করেছেন বাংলাদেশে হিউম্যান রাইট ফাউন্ডেশন (বিএইচআরএফ)। সংস্থার মহাসচিব এডভোটেক জিয়া হাবীব আহসানের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি দল সরেজমিন পরিদর্শন করে এ তথ্য জানিয়েছে। গত ৪ মার্চ তাঁরা ঐ এলাকাটি সরেজমিন পরিদর্শন করেন। সংস্থাটির দাবি, এসব ইটের ভাটা অবৈধ। ইটভাটার কারণে ঐ এলাকার ঐতিহ্যবাহী কাঞ্চনা পেয়ারা বাগান ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। জমিতে ফলন হচ্ছে না। ধূলায় বিবর্ণ হয়ে গেছে ফুলে সুশোভিত আম্রমঞ্জরী। নেই জমির টপসয়েল। গতকাল রবিবার বিএইচআরএফ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের বা মোবাইল কোর্ট নীরব ভূমিকা পালন করছে। পুরো চন্দনাইশে ৩১টি ইটের ভাটা রয়েছে। এরমধ্যে ২৫টিই অবৈধ। বাকী ছয়টি বৈধ। শুধু কাঞ্চনাবাদেই আছে ১৭টি অবৈধ ইট ভাটা। যেখানে স্থানীয় কয়েকজন জনপ্রতিনিধির মালিকানাধীন ইটভাটা রয়েছে। অবৈধ ইটের ভাটাগুলো হলো, মেসার্স আহমদ এন্ড ব্রাদার্স, মেসার্স কাশেম ব্রিকস ম্যানু, মেসার্স শাহসুফি ব্রিকস ম্যানু, মেসার্স মরিয়ম ব্রিকস, মেসার্স বিসমিল্লাহ ব্রিকস, মেসার্স আমিনুল হক এন্ড মোহাম্মদ আলী ব্রিকস, মেসার্স ন্যাশনাল ব্রিকস, মেসার্স জেএমসি ব্রিকস, মেসার্স খাজা ব্রিকস, মেসার্স শাহ আমানত ব্রিকস, মেসার্স এ বি.এম ব্রিকস, মেসার্স থ্রী বি.এম ব্রিকস, মেসার্স শাহ জোহাদীয়া ব্রিকস, মের্সাস রহমানিয়া ব্রিকস, মেসার্স চৌধুরী ব্রিকস, মেসার্স কাঞ্চননগর ব্রিকস, এম. এইচ. ওয়াই ব্রিকস, মেসার্স ফোর বি.এম ব্রিকস, মেসার্স শাহ আমানত ব্রিকস, মেসার্স রহিম ব্রিকস, মেসার্স শাহ আলী রজা (র.) ব্রিকস, মেসার্স এ আর ব্রিকস, মেসার্স নিউ আলী শাহ ব্রিকস, মেসার্স এএইচ ব্রিকস, মেসার্স হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রঃ) ব্রিকস। বিএইচআরএফ তথ্য অনুসন্ধান টিমের সদস্যরা হলেন, সংস্থার মহাসচিব এডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান, এডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ হারুণ, মানবাধিকার কর্মী কে এম শান্তনু চৌধুরী, রিদুয়ানুল করিম নাভিল, আহসান হাবীব, এম রহমান শাওন, ইয়াসির আরাফাত, এম নাজিমুদ্দিন, মো. রাজিব হোসেন রিফাত, নজরুল হোসেন শোকরিয়া প্রমুখ।
পূর্বকোণ/একে