২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ১২:৪৭ অপরাহ্ণ
নিজস্ব সংবাদদাতা
২০১৬ সালে আমরা ৬ বন্ধু আলোচনা করে গড়ে তুলি আল-আকসা পোল্ট্রি ফার্ম। শুরুতে তিন হাজার লেয়ার মুরগি নিয়ে ৩০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেই ব্যবসার যাত্রা করি। বলছি সাতকানিয়া উপজেলার ছয় তরুণ উদ্যোক্তার কথা। আল-আকসা পোল্ট্রি ফার্ম ও মেডিসিন সেন্টার হাউজের স্বত্বাধিকারী শাহেদুল আলম বাহাদুর, ইনজামামুল হক আবির, রিয়াদ হোসেন, সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ খালেদ, শোয়াইব আহমদ আনসারী ও মোহাম্মদ মহিউদ্দীন। জীবনের নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে তাদের এগিয়ে চলা। নিজেদের স্বপ্নগুলোকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য বেছে নিয়েছেন এগ্রো ব্যবসা। গড়ে তুলেছেন লেয়ার মুরগির ফার্ম এবং অন্যান্য ব্যবসা। ৩০ লক্ষ টাকার বিনিয়োগ থেকে ছয় বছরের ব্যবধানে মুনাফা বেড়ে হয়েছে ৫ কোটি টাকা। অন্যদিকে ব্যবসার গন্ডি লেয়ার মুরগি পেরিয়ে ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা এবং সকল প্রকার ভেটেরিনারি মেডিসিন বিক্রয়কেন্দ্র।
এ প্রসঙ্গে আল-আকসা ফার্মের আত্মপ্রত্যয়ী স্বত্বাধিকারী শাহেদুল আলম ও ইনজামামুল হক পূর্বকোণকে বলেন, ২০১৬ সালে ব্যবসার শুরুটা ছিল স্বপ্নের মতো। শত বাধা আর প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা দমে যাইনি, নিরাশ হইনি। যেখানে নিজেদের বেকারত্ব নিয়ে দিশেহারা ছিলাম, সেখানে আমরা ২০ থেকে ২৫ জন যুবকের বেকারত্ব দূর করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। বাজালিয়া এলাকায় ১শ’ শতক জায়গায় লেয়ার মুরগির ফার্ম গড়ে তুলি। যেখান থেকে প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি ডিম আসে। আমরা সফলতার সাথে লভ্যাংশের মাধ্যমে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি। একটা সময়ে এ ব্যবসায় অনেক বেশি লাভ করা যেত। এ ব্যবসার আয় দিয়ে সংসার চালানো এবং অন্যান্য সবকিছু সহজ ছিল। বর্তমানে প্রাণিখাদ্য ও ওষুধের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। কোন কোন মাসে লাভের বদলে লোকসানও গুনতে হয়। ২০১৬ সাল থেকে আমরা ছয়জন একসাথে আজকে ৬ টি বছর পার করছি। আমাদের মধ্যে কখনো দ্বিমত হয়নি, তাই আমরা সফল হয়েছি। বর্তমানে আমাদের ফার্মে সবমিলিয়ে ১৫ হাজার লেয়ার এবং ৫০টির অধিক ছাগল রয়েছে। পাশাপাশি আমাদের উপজেলার কেরানিহাটে গরু-ছাগল, হাঁস, ব্রয়লার লেয়ার বা সোনালী মুরগি, মাছ, কবুতর, পাখির সকল প্রকার ভেটেরিনারি মেডিসিন বিক্রয় কেন্দ্র এবং ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা রয়েছে।
সাতকানিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আল-আকসা ফার্মের যে উদ্যোক্তারা রয়েছেন তারা মূলত সবাই ছাত্র এবং সমবয়সী। নিরন্তর পরিশ্রমে তারা সফলতার দিকে যাচ্ছে। বেকারত্ব দূরীকরণে তাদের থেকে শিক্ষা নিয়ে তরুণ সমাজ এগিয়ে যেতে পারে। আল-আকসা ফার্মের ৬ উদ্যোক্তা খুব মেধাবী এবং সাহসী। ভবিষ্যতে তারা অনেক বড় হবে।’
লেখক: নিজস্ব সংবাদদাতা, সাতকানিয়া
পূর্বকোণ/পিআর