চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

নগরায়নের কবলে চট্টগ্রামের শস্যভাণ্ডার গুমাইবিল

ইসলাম জিগার

১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ১১:২১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের শস্যভাণ্ডার খ্যাত রাঙ্গুনিয়ার গুমাইবিল মূলত কর্ণফুলী নদীর বিধৌত উর্বর ভূমি। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধানের গোলাখ্যাত গুমাইবিল উৎপাদন ও অর্থনীতির গতিপ্রবাহ আজ চট্টগ্রামকে করেছে সমৃদ্ধ। গুমাইবিলের উৎপাদিত মোট খাদ্যশস্য এলাকার চাহিদা মিটিয়ে জাতীয় খাদ্যচাহিদাও করছে সমৃদ্ধ।

 

দেশের বৃহত্তম চলনবিলের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাঙ্গুনিয়ার এই গুমাইবিলের মোট আবাদি জমির পরিমাণ ২ হাজার ৪শ’ হেক্টর। কর্ণফুলী নদীবিধৌত উর্বর ভূমি যা এই বিলের পলিবাহিত জমি উর্বরতার কারণে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ ফসল উৎপাদন করে আসলেও বিগত এক দশক ধরে গুমাইবিলে স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। উত্তর চট্টগ্রামের উপশহর খ্যাত ‘চন্দ্রঘোনা’ থেকে মরিয়মনগর চৌমুহনী ও রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা এলাকার নগরায়নের বিস্তৃতি এখন গুমাইবিলকে গিলে খাচ্ছে। ইতোমধ্যে কমপক্ষে পাঁচশতাধিক স্থাপনা নির্মিত হয়েছে গুমাইবিলের চতুর্দিকে।

 

পরিবেশ বিধ্বংসী ইটভাটা স্থাপনও বাদ যায়নি শস্যভাণ্ডার গুমাইয়ের বুকে। বিলের উপকণ্ঠে চন্দ্রঘোনা ও নিশ্চিন্তাপুর এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে ছয়টি ইটভাটা। সেচসঙ্কট, বিলের অভ্যন্তরে উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে না উঠায় মূল সড়ক থেকে দূরবর্তী প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদই হয় না। গুমাইঝিল, গুমাইবিল, নিশ্চিন্তাপুর ও চন্দ্রঘোনা মৌজায় বিস্তৃত ‘গুমাইবিল’র মোট আয়তনের প্রায় অর্ধেক। এসব কৃষিজমি অনাবাদি রাখা হচ্ছে বছরের পর বছর।

 

গুমাইবিল একসময় ঝিল ছিল। এই বিলজুড়ে মাছ আর নানা প্রজাতির পাখিতে ভরপুর ছিল। ১৯৪৫ সালে রাঙ্গুনিয়ার কৃতীপুরুষ মরহুম আব্দুল বারী তালুকদার গুমাইবিল সংস্কার করে প্রথমবারের মতো আধুনিক চাষাবাদ শুরু করেন। ১৯৮০-৮১ সাল থেকে গুমাইবিলের জমি শুষ্ক মৌসুমে সেচের আওতায় আনা হয়। রাঙ্গুনিয়ার নিশ্চিন্তাপুর পাহাড়ের পাদদেশে চন্দ্রঘোনা, মরিয়মনগর, হোসনাবাদ, স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া, লালানগর ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে গুমাইবিলের অবস্থান। গুমাইবিলের জমিতে প্রতিবছর ইরি ও আমনের বাম্পার ফলন হয়। পাকিস্তান আমলে এই বিলে শুরু হয়েছিল ধান চাষ। স্বাধীনতাপরবর্তী সরকারগুলো এখানে আধুনিক সেচের ব্যবস্থা করে। সময় গড়ানোর সাথে সাথে বাড়ে এর ব্যাপকতা। স্থানীয় শত শত কৃষকের জমি রয়েছে এখানে। এছাড়া গুমাইবিলে বাইনালার ছড়া, সোনাইছড়ি, মুন্দরী, কুরমাই, ইছামতি, বারঘোনিয়া, ঘাগড়া হ্রদ খাল ও গুট্টাকার খাল গুমাইতে প্রবাহিত হয়। এগুলোর মাধ্যমে পরিকল্পিত সেচ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে কৃষি বিভাগ।

 

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গুমাইয়ের সাথে রাঙ্গুনিয়াবাসীর সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। গুমাই এক সময় ঝিল আকারে থাকলেও রাঙ্গুনিয়ার উপর দিয়ে বয়ে চলা কর্ণফুলী নদী এবং গুমাইয়ের কুলে নেমে আসা প্রচুর পাহাড়ি ঝর্ণা, ছড়া ও ঝর্ণাবাহিত পলি এবং পলি বালি মিশ্রিত স্রোতধারা পরিকল্পিতভাবে প্রবাহের ব্যবস্থা করে রেখেছে গুমাইয়ের বুকে। বাইনালার ছড়া, সোনাইছড়ি, মুন্দরী, কুরমাই, ইছামতি, বারঘোনিয়া, ঘাগড়া হ্রদ খাল ও গুট্টাকার খাল গুমাইতে প্রবাহিত করা হয়।

 

১৯৪৫ সালে মরহুম আবদুল বারী তালুকদার, অক্লান্ত পরিশ্রম করে গুমাইবিলের প্রথমবারের মত আধুনিক চাষাবাদ শুরু করেন। চারটি মৌজার গুমাইকে ঝিল থেকে বিলে পরিণত করার প্রবল কৃতিত্বের অধিকারী তিনি। সে সময় গুমাইবিল উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সৈয়দবাড়ি গ্রামের অনেকে জড়িত ছিলেন। নিজ জমি বিক্রি করে তিনি গুমাইবিল উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন নিরলসভাবে। একই গ্রামে মরহুম আবদুল ওহাব মিয়া সিকদারকে তৎকালে গুমাইবিল সংস্কার কমিটির সভাপতি করা হয়।

 

গুমাইয়ের ঝিলে পলি বালি জমে একসময় চাষাবাদের উপযোগী হয়ে উঠলে রাঙ্গুনিয়ার কৃষকেরা তাতে কৃষিপণ্য চাষাবাদ শুরু করে। পরবর্তীতে উক্ত গুমাইবিল হয়ে উঠে দেশের শস্য ভাণ্ডার হিসেবে যা এখন দেশের অর্থনীতিকে করছে সমৃদ্ধ ও রাঙ্গুনিয়ার কৃষি-অর্থনীতিতে সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখছে।

 

স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বোরোমৌসুমের শুরুতে কৃষকদের পানির জন্য হাহাকার করতে হয়। অথচ নিয়ম হচ্ছে কৃষকদের সুবিধার্থে মওসুমের শুরুতে গুমাইবিলের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালে কর্ণফুলী, ইছামতীসহ আশেপাশের বিভিন্ন নদী থেকে পানি সরবরাহ করা এবং বিভিন্ন স্কিম ম্যানাজারদের সহায়তায় কৃষি জমিতে সেচের পানি সরবরাহ করা। কিন্তু গুমাইবিলের সাথে সংযুক্ত এবং মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া মেহেদী খাল, কুরমুই ছড়া, ঢালাই খাল, হুটিয়া খাল, ছোট কুরমাই খাল, হাসেম খাল, কাঁটাখালী খালে পলি জমে অধিকাংশ ভরাট হয়ে গেছে। এছাড়াও এসব খালের পাড় ভাঙন, খালের গতিপথ দখল করে স্থাপনা নির্মাণসহ বিভিন্ন কারণে বোরো মৌসুমে খালে পানি প্রবেশ করতে পারে না। আমনমৌসুমে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎপ্রকল্পের ছেড়ে দেওয়া অতিরিক্ত পানি ও পাহাড়ি ঢলের পানি এসব খালের মাধ্যমে গুমাইবিলে প্রবেশ করলেও বিভিন্ন বাধার কারণে সহজে অপসারিত হতে পারে না। এছাড়া বিকল স্লুইচ গেইটের যথাযথ তদারকির অভাব, যাতায়াত অসুবিধাসহ নানা কারণে গুমাইবিলে প্রতি মৌসুমে অনাবাদি থাকে গড়ে ৯শ’ থেকে এক হাজার হেক্টর জমি। প্রধানত বোরো মৌসুমে সেচ সুবিধার অভাবে প্রায় এক হাজার হেক্টর জমি প্রতিবছর অনাবাদি থাকলেও এই নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড রাঙামাটি পওর বিভাগের আওতাধীন এই জমি নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা নেই।

 

গুমাইবিলে ইরিগেশন প্রজেক্ট হিসেবে কর্ণফুলী সেচ প্রকল্পের আওতায় ইছামতি ইউনিট নামে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। মূলত কর্ণফুলী নদীর পানি দিয়ে গুমাই বিলের চাষাবাদ সচল রাখতে এই প্রকল্প নেয়া হয়। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সিনেটর রবার্ট মুন্দারসহ তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের কৃষি উপদেষ্টা হাসেম মাহফুজ ১৯৪৩ সালে গুমাইবিল পরিদর্শন করেন এবং কর্ণফুলী নদী থেকে খাল খননের সুপারিশ করেন। ১৯৪৫ সালে পৌরসভার সৈয়দবাড়ি গ্রামের মরহুম আবদুল বারী তালুকদার সর্বপ্রথম এগিয়ে আসেন এবং গুমাইবিলের সাথে পানি প্রবেশের পরিকল্পনা গ্রহণের পর কয়েক হাজার মাটি কাটার শ্রমিক নিয়োগের মাধ্যমে খাল কাটা শেষ করা হয়।

 

জমির শ্রেণি নির্ণয় করে গুমাই বিল সম্পূর্ণ আওতায় আনার ক্ষেত্রে সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমি নিয়ে মোট প্রকল্প ধরা হয়। বর্তমানে এ প্রকল্পে মাত্র অর্ধেক জমি প্রকল্পের আওতায় চাষাবাদ হচ্ছে।

 

১৯৮০-৮১ সাল থেকে গুমাই বিলের জমি শুষ্ক মৌসুমে অর্থাৎ সেচ আওতায় আনা হয়। ইরি বোরো ও আমন দুই মৌসুম মিলে বার্ষিক ২০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য শস্য উৎপাদন হয়। এ বিলে চাষাবাদ কাজে জড়িত আছে প্রায় দেড় হাজার কৃষক। তবে আধুনিক উচ্চ ফলনশীল উন্নত চাষাবাদের আওতায় আনা হলে এ ফলন আরো বৃদ্ধি করে দ্বিগুণ করা সম্ভব হবে। গুমাই বিলে ইছামতি সেচ ব্যবস্থায় ১৯৭৪ সালে মূল প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধিত হয়ে ৬ হাজার একর সেচভূক্ত জমির মধ্যে ৪ হাজার একর প্রকল্প আওতায় আনা হয়। হুইটেকার বা মুন্দারী মহাফেজ খাল ও কাটাখালী খাল খননের মাধ্যমে কর্ণফুলী নদীর সাথে অবাধে পানি প্রবেশের সুযোগ করে দেয়া হয়। ফলে গুমাই ঝিলের পানি নিকাশের প্রধান দরজা খুলে যায়। ঘুচে যায় গুমাই বিলের জলাবদ্ধতা। ১৯৯২ সালে সেচ কর আদায়ের লক্ষ্যে কর্ণফুলী সেচ প্রকল্পের আওতায় ইছামতি ইউনিট থেকে পাইলট প্রকল্প ঘোষণা করা হয় এবং প্রকল্প এলাকার কৃষকদের নিয়ে গঠন করা গ্রুপ ও এসোসিয়েশন।

উপজেলার কৃষি অফিস সূত্র জানান, রাঙ্গুনিয়ায় দুই দশক আগে কৃষি জমির পরিমাণ ছিল প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর। ২০ বছরে কৃষি জমির পরিমাণ কমেছে প্রায় দুই হাজার একর। শতকরা হিসেবে এর হার ৫ থেকে ৯ শতাংশ। উপজেলায় বর্তমানে চালের চাহিদা রয়েছে ৬৭ হাজার মেট্রিক টন। উৎপাদিত হয় ৫৬ হাজার মেট্টিক টন। যে হারে কৃষি জমি কমতে শুরু করেছে ভবিষ্যতে খাদ্য ঘাটতি আরো বাড়বে বলে মনে করেন কৃষিবিদরা।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, চট্টগ্রামের শস্য ভান্ডার খ্যাত রাঙ্গুনিয়ার গুমাইবিলের পরিধি সংকুচিত হচ্ছে দ্রুত গতিতে। বর্তমানে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক সংলগ্ন জমি ভরাট করে তোলা হচ্ছে নানা স্থাপনা। প্রতিনিয়তই চলছে ইমারত নির্মাণ। এ অবস্থায় ঐতিহ্য হারাতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এই বিল। বিলের মধ্যখানে মাথা তুলছে ইট পাথরের ইমারত। দালানে গ্রাস করছে উর্বরা শক্তির এই ধানী জমিগুলো। গুমাইবিলের বিভিন্ন অংশের আবাদি জমিতে বসতঘর নির্মাণ করা হচ্ছে ব্যাপকহারে। এক শ্রেণির লোকের জমি ব্যবসার সূত্রে বিত্তশালীরা জমি কিনে অপরিকল্পিতভাবে বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবন নির্মাণ করে চলেছে বিলে। ফলে দ্রুত বদলে যাচ্ছে গুমাই বিলের দৃশ্যপট। ক্রমে বিলুপ্ত হচ্ছে বিলটি।

 

চন্দ্রঘোনা লিচু বাগান অংশে কৃষি জমিতে একাধিক দালান কোঠা তৈরির কাজ চলছে। চন্দ্রঘোনা ছাড়াও মরিয়মনগর, ব্রহ্মোত্তর ইসলামাবাদ, নিশ্চিন্তাপুর, হোসনাবাদ, পৌরসভা এলাকাসহ গুমাই বিলের চতুর্পাশের আবাদি জমিতে নানা স্থাপনা নির্মাণের কবলে গুমাই বিলের আয়তন ক্রমে ছোট হয়ে আসছে।

 

চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের পাঠান পাড়া গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলী বলেন, কৃষি জমির পরিমাণ কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও সেচ সংকটের কারণে গুমাই বিলের অধিকাংশ জমিতে এখন চাষাবাদ হয় না। এতে দিন দিন খাদ্য ঘাটতি প্রকট আকারে রূপ নিচ্ছে। কৃষি জমির পরিমাণ কমে যাওয়ায় মানুষের খাদ্য ঘাটতির পাশাপাশি পশু খাদ্যের ঘাটতিও দেখা দিয়েছে মারাত্মকভাবে। এ কারণে অনেকে গবাদি পশু লালন পালন ছেড়ে দিয়েছে।

 

রাঙ্গুনিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ বলেন, কৃষি জমি অকৃষি খাতে যাওয়ার প্রধানত কারণ জনসংখ্যা বৃদ্ধি। ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে রাঙ্গুনিয়ায় বসতবাড়ির সংখ্যা ছিল ৪৫ হাজার ২শ’। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে বসতবাড়ির সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৩ হাজার ৬শ’। বিশ্বব্যাংকের ‘বিশ্ব উন্নয়ন সূচক ২০০৯’ এ বলা হয়, ১৯৯০ সালে দেশের ২০ শতাংশ মানুষ শহরে বাস করত। এখন সেই সংখ্যা ত্রিশের উপরে। উন্নয়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শহরের সংখ্যা বাড়ছে। সম্প্রসারিত হচ্ছে অবকাঠামো সুবিধাও। এতে সারাদেশের ন্যায় রাঙ্গুনিয়ায়ও নগরায়নের ফলে কৃষি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে।

 

এদিকে সম্প্রতিক সময়ে রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠা ইটভাটায় কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গুমাইবিলের টপ সয়েল। স্কেভেটরের মতো আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে নিয়মিত টপ সয়েল কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। রাতের আঁধারে ট্রাকে ট্রাকে মাটি তুলে নেয়া যাওয়া হচ্ছে গুমাই বিল থেকে। কৃষকদের বুঝানো হচ্ছে, বিলের উঁচু মাটি কেটে সমান করে তাদের উপকারই করছেন মাটি খেকোরা।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কারিমা আক্তার জানান, আবাদি জমির টপ সয়েল খুবই গুরুত্বপ‚র্ণ উপকরণ। গুমাইবিলে সম্প্রতি রাতে-দিনে টপ সয়েল কাটা হয়েছে। ইটভাটায় এখনো টপ সয়েল কাটার হিড়িক চলছে। আমাদের চোখের সামনেই জমির সর্বনাশ করা হচ্ছে। কিন্তু আসলে আমাদের কিছু করার উপায় নেই। প্রশাসনের বাঁধাও তারা মানছে না। এতে করে দিনে দিনে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গণি ওসমানী বলেন, গুমাইবিল রক্ষার্থে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। এই ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়ার সাংসদ তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মহোদয়ের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। নির্মাণাধীন অনেক স্থাপনার কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ইটভাটাসহ অন্যান্য স্থাপনার ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া বিলের মাঝখানে যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন, সেচ সুবিধা আধুনিকায়নসহ সার্বিক বিষয়ে পরিকল্পা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

 

লেখক : নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গুনিয়া

 

 

পূর্বকোণ/জেইউ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট