চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

হুমকির মুখে বেড়িবাঁধ

জুঁইদণ্ডীতে অবাধে বালু উত্তোলন

সুমন শাহ, আনোয়ারা

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ১১:৫২ অপরাহ্ণ

উপজেলায় নেই কোনো বালুমহাল। তারপরও শঙ্খ নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ভূ-অভ্যন্তরের কাঠামো তছনছ করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। অধিক লাভজনক হওয়ায় এ অশুভ তৎপরতা কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না।

 

শনিবার বিকালে উপজেলার জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের গোদারপাড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রাতদিন শঙ্খ নদীর পাড়ে বেড়িবাঁধের পাশে বালু বেচা-কেনার হাট বসেছে। প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার বালু কেনা-বেচা হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান ও জরিমানাতেও থামছে না অবৈধ বালু উত্তোলন।  স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ২০ বছর ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ গফুর ও শ্রমিক লীগ নেতা আব্বাসের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট।

বিভিন্ন সময় উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানা করলেও অবাধে বালু উত্তোলন করে চলছে তারা। দিনরাত ড্রেজার বসিয়ে শঙ্খ নদী থেকে বালু উত্তোলনের কারণে পরিবেশ ও নির্মিত বেঁড়িবাধ এখন হুমকির মুখে। এছাড়া আব্বাসের ড্রেজারে চলছে রায়পুর ইউনিয়নের বাইন্নের দিঘিপাড়, গোদারপাড়সহ কয়েকটি এলাকায় বালু উত্তোলন। তাছাড়া ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে মানুষের ভিটেবাড়ি ভরাটের কাজও করেন আব্বাস। এতে একদিকে শতকোটি টাকার বেড়িবাঁধ যেমন ভাঙনের মুখে পড়ছে, অন্যদিকে বিপদজনক হয়ে পড়ছে চলাচলের গ্রামীণ সড়ক ও পরিবেশ।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রমিক লীগ নেতা আব্বাস বলেন, আমি বিশ বছর ধরে বালু ব্যবসার সাথে জড়িত। স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি না নিলেও বিআইডব্লিউটিএ’র অনুমতি নিয়েছি। বেড়িবাঁধের উপর বালু বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন, বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলেও আমরা তা সংস্কার করি।বালু ব্যবসা আমি একা নয়, এখানে আরো অনেকেই করে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল মুমিন বলেন, বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করে জরিমানাও করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে আবারো আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট