চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বোমাবাজি হত্যা বিএনপির অভ্যাসে পরিণত হয়েছে: তাজুল ইসলাম

লামা সংবাদদাতা

৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ১১:০৪ অপরাহ্ণ

বোমাবাজি ও হত্যা বিএনপির অভ্যাসে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের সাথে তাদের কোন মিল নাই। এরা ব্রিটিশ আমলে ব্রিটিশের, পাকিস্তান আমলে পাকিস্তানের দালালি করত। এদের সাথে আওয়ামী লীগের কোন মিল নেই। আওয়ামী লীগের নেতারা যা বলে তা করে। বিএনপি’র নেতাকর্মীরা মিথ্যাচার এবং লুটপাট করতে জানে।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় বান্দরবানের লামায় এলজিইডি কর্তৃক নবনির্মিত লামা উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

 

এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপি বলে আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি। কিন্তু তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। ২০০১ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতায় আসে তখন আমার নিজের এলাকায় গেইট ভেঙ্গে, ভোট কেন্দ্র ভাংচুর, কেন্দ্র দখল ও মানুষ পিটিয়ে এলাকা ছাড়া করে ওরা ক্ষমতায় আসে। সেটাতে তারা বলে সুষ্ঠু নির্বাচন।

তিনি বলেন, হতদরিদ্র বাংলাদেশ আজ উন্নতশীল দেশ হয়েছে। গ্রামীণ প্রকল্প বাস্তবায়নে পার্বত্য অঞ্চলকে প্রাধান্য দেয়া হবে। স্থানীয় নেতাকর্মী ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রীর সুপারিশ বিশেষ বিবেচনা করবে এলজিইডি। বান্দরবানে বর্তমানে প্রায় ১৩শত কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুত পার্বত্য এলাকার চেহারা আরো পাল্টে যাবে। নতুন নতুন প্রকল্পে বান্দরবানকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। উন্নয়ন কাজে যেন কোন বৈষম্য না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। গ্রামীণ আদালত সারা বাংলাদেশে পাইলট প্রকল্প হিসাবে চলমান রয়েছে। পৃথিবীর কোথাও এইটা নেই।

 

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ইউএনডিপি ও ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে বাংলাদেশ মডেল হিসাবে কাজ করছে। আমরা সফলভাবে কাজটি করতে পেরেছি। পর্যায়ক্রমে এটি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে যাবে। গ্রামীণ আদালতে স্থানীয় আইনের সাথে সমন্বয় করে এটি পরিচালনা করতে হবে। অবকাঠামো নির্মাণে সমতলের চেয়ে পাহাড়ে বেশি বরাদ্দ দিতে সুপারিশ করেছেন। পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় বিষয়টি আমরা মাথায় রেখে বরাদ্দ দিব। তবে কাজের গুণগত মানের বিষয়টি আপোষ করা হবে না।

লামা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনসহ মোট ৮ কোটি ৭০ লাখ ৭৭ হাজার ৫১ টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এলজিইডি বাস্তবায়নাধীন উপজেলা কমপ্লেক্স সম্প্রসারণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ৬ কোটি ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ৫১ টাকা ব্যয়ে উপজেলা পরিষদ সম্প্রসারিত ভবন ও হলরুম নির্মাণ করা হয়। একইসাথে এলজিইডির বাস্তবায়নে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান বাসভবন এবং ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ইউএনও বাসভবন নির্মাণ করা হয়। উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনটি ৬ তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট ৪ তলা মূল ভবন কাজ সমাপ্ত হয়েছে। প্রতি ফ্লোরে ৪ হাজার ২৫০ বর্গফুট করে মোট ১৭ হাজার বর্গফুট এর মধ্যে ৩০টি কক্ষ রয়েছে। এছাড়া ৪ হাজার বর্গফুটের হলরুমসহ সর্বমোট ২১ হাজার বর্গফুটে নির্মিত ভবনে আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে।

 

লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম, প্রধান প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ মহসিন, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, এলজিইডি বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম মজুমদার, বান্দরবান পৌরসভার মেয়র ইসমাল বেবী, লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম ও লামা উপজেলার প্রকৌশলী আবু হানিফ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে দুপুর ২টায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মত বিনিময় সভা করেন এলজিআরডি মন্ত্রী। বিকেল ৪টায় লামার সরই কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন পরিদর্শন করে।

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট