চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সেচের অনিশ্চয়তা দূর, ৩ হাজার হেক্টর জমি চাষের আওতায়

বোরো আবাদে টইটং খালে বাঁধ

এম জাহেদ চৌধুরী, চকরিয়া-পেকুয়া

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ৬:৫১ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের পেকুয়ায় টইটং খালে নির্মিত হয়েছে দুটি মাটির বাঁধ। রবি মৌসুমে বোরো চাষ ও শীতকালীন সবজি উৎপাদন বাড়াতে প্রবহমান জোয়ার-ভাটার এই খালে দেওয়া হয়েছে বাঁধ। সরকারি বরাদ্দ থেকে একটি ও ব্যক্তিগত অর্থায়নে অপর বাঁধটি নির্মিত হয়।

সম্প্রতি নির্মিত বাঁধ দুটির মধ্যে একটি নির্মিত হয়েছে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডস্থ নাপিতখালীর দক্ষিণপাড়ায় টইটং খালের উপর। অপর বাঁধটি তৈরি করা হয়েছে টইটং ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডস্থ কাচারীপাহাড় নামক স্থানে। বাঁধ দুটির দূরত্ব ৩ কিলোমিটার।  জানা যায়, টইটং খাল ভোলা খালের শাখা। শুষ্ক মৌসুমে বোরো চাষ ও সবজি আবাদ ফলানোর জন্য মিঠাপানি সংরক্ষণ করতে বাঁধ দুটি নির্মাণ করা হয়েছে।

 

দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় পেকুয়ায় ২টি রাবার ড্যাম নির্মিত হয়। একটি ভোলা খালের পেকুয়া সদর ইউনিয়নের গোঁয়াখালীতে, অপরটি ভোলা খালের শাখা নদী টইটং খালের নাপিতখালী পয়েন্টে। চলতি বোরো মৌসুমের আগেই নাপিতখালী অংশে টইটং খালের উপর নির্মিত রাবার ড্যামটি ফুটো হয়ে যায়। ধরা পড়ে এর কারিগরি ত্রুটি। মারাত্মক ছিদ্র হয়ে যায় রাবার ড্যামটি। এতে কয়েক হাজার কৃষক উৎপাদন সংকটে পড়ে।

প্রবহমান টইটং খালের রাবার ড্যাম ছিদ্র থাকায় টইটং ও পার্শ্ববর্তী বারবাকিয়া ইউনিয়নের প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো উৎপাদন অনিশ্চিত হয়ে যায়। এ সংকট কাটাতে এই মাটির বাঁধ দু’টি তৈরি করা হয়। নাপিতখালীর মাটির বাঁধটি তৈরি করতে উদ্যোগ নেন জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। অপরদিকে, টইটংয়ের কাছারীপাহাড়ে নির্মিত বাঁধটির নির্মাণ ব্যয় বহন করে পেকুয়ার এরশাদ আলী ওয়াকফ। ওই ওয়াকফের মোতোয়াল্লী পেকুয়ার ইউএনও পূর্বিতা চাকমাকে ওই বাঁধ তৈরি করতে অর্থের যোগানে সহযোগিতা করেন।

 

সরেজমিনে দেখা গেছে, টইটং খালের প্রবহমান অংশে দুটি বাঁধের নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয়েছে। টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমার ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী বারবাকিয়া ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ জমিতে বোরো চাষ নিশ্চিত করার জন্য টইটং খালে মাটির বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। ফসল উৎপাদন বাড়াতে এ কাজটি করা হয়েছে।

বারবাকিয়া ইউপির চেয়ারম্যান এএইচএম বদিউল আলম বলেন, এটির সুফল পেকুয়ার কয়েক হাজার কৃষক পাবে।

পেকুয়ার কৃষি কর্মকর্তা তপন কুমার রায় বলেন, রাবার ড্যামের আওতায় প্রায় ২৫০০ হেক্টর আবাদি জমি আছে। এ বছর চাষ হবে কিনা অনিশ্চয়তা ছিল। মাটির বাঁধটি সঠিক সময়ে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমি বোরো চাষের আওতায় এসেছে। পেকুয়ার ইউএনও পূর্বিতা চাকমা বলেন, দুটি মাটির বাঁধ তৈরি হওয়ায় কৃষকের অনিশ্চয়তা দূরীভূত হয়েছে। এর সুফল পাবে কৃষকরা।

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট