চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বিএনপিবিহীন ভোটে আ. লীগেও হতাশা

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ

নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের থাকলেও ভোটে নেই বিএনপি। আসন্ন বোয়ালখালী উপজেলা উপনির্বাচনেও বিএনপি ঘরনার প্রার্থী থাকছে না। আওয়ামী লীগের ডজনখানেক সম্ভাব্য প্রার্থী ইতিমধ্যেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। দলীয় মনোনয়নের আশায় ঢাকায় নেতাদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন নেতারা। ঘোষিত তফসিল মতে, আগামী ১৬ মার্চ বোয়ালখালী উপজেলার উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চেয়ারম্যান নূরুল আলমের মৃত্যুর পর উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।

 

 

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ডজনখানেক নেতাকর্মী দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। মাঠের চেয়ে ঢাকায় নেতাদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল আমিন চৌধুরী পূর্বকোণকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বড় দল। অনেকেই দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে কাজ করবেন দলীয় নেতাকর্মীরা। দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সেই আস্থা ও শ্রদ্ধা রয়েছে।’

 

 

দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ অসুস্থ। দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখন হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছেন। শুধু তা নয়, শীর্ষ নেতাদের দ্বারে দ্বারেও ঘুরছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

 

 

দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এসএম সেলিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল আমিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা রেজাউল করিম বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল বশর, সাবেক চেয়ারম্যান এমএ ঈছা। প্রার্থিতার তালিকায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের নামও শোনা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম বোরহান উদ্দিনের নামও শোনা যাচ্ছে। ২০১৯ সালে সর্বশেষ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী নূরুল আলম বিজয়ী হয়েছিলেন। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বী করেছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক ছাত্রনেতা আবদুল কাদের সুজন। তিনি এবারও মনোনয়ন চাইবেন।

 

 

সারোয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বলেন, ‘১৯ বছর ধরে ইউপি চেয়ারম্যান ও ৩৬ বছর ধরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে রয়েছি। গতবারও উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু নেতাদের তল্পিবাহক প্রার্থিতার কারণে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হই। এবারও নির্বাচনের প্রস্তুতি রয়েছে। দলীয় মনোনয়ন পেলে নির্বাচন করবো।’

 

 

সম্ভাব্য দুই প্রার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আওয়ামী লীগের সুদিনে এখন প্রার্থিতার অভাব নেই। বিএনপি-জামায়াতের পৃষ্ঠপোষক ও অর্থদাতারাও এখন আওয়ামী লীগে গুরুত্ব পাচ্ছেন। দলীয় সভা-সমাবেশে মঞ্চে ঠাঁই পাচ্ছেন সুবিধাভোগী ও হাইব্রিডরা। সুবিধাভোগীদের দাপটে অসহায় ও হতাশ হয়ে পড়েছেন দলের ত্যাগী ও দুর্দিনের নেতাকর্মীরা। নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের মাঠে রয়েছে বিএনপি। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

 

 

বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইসহাক চৌধুরী বলেন, এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে সব ধরনের নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না।

 

 

 

পূর্বকোণ/আরএ

 

 

 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট