চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

বাঁশখালীতে ১১ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলার উদ্বোধন

বাঁশখালী সংবাদদাতা

২৭ জানুয়ারি, ২০২৩ | ৯:১৬ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ১১ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলা উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় মূল মন্দির প্রাঙ্গণে একবিংশতম ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলা উদ্বোধন করেন বাঁশখালীর ঋষিধাম ও তুলসীধামের মোহন্ত মহারাজ স্বামী সুদর্শানন্দ পুরী মহারাজ।

এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।

 

আলোচনায় অংশ নেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাঈদুজ্জামান চৌধুরী, থানা অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দীন পিপিএম, উপজেলার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল গফুর, দক্ষিণ জেলা লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম, মেলা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুকমার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অনুপ বরণ দাশ, প্রধান সমন্বয়ক তাপস কুমার নন্দী, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শ্যামল কান্তি দাশ, কালীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদাত আলম প্রমুখ।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাঁশখালীর সংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার সকল ধর্মের মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। সকল ধর্মে একই মর্মবাণী- ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এই মেলা দেশ বিদেশে আমাদের বাঁশখালীর ঐতিহ্য বহণ করে আসছে। ১১ দিনব্যাপী মেলায় দেশ-বিদেশের অনেক নারী-পুরুষের সমাগম ঘঠে থাকে। আগত পূন্যার্থীদের সকল আশা-আকাঙ্ক্ষার সফলতা কামনা করি।

 

এদিকে উদ্বোধনের পরে ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলায় আগত হাজার হাজার পূন্যার্থী মেলাস্থল থেকে বাঁশখালীর প্রধান সড়কের বর্ণাঢ্য মহোশোভাযাত্রা করেন। এছাড়াও মন্দির প্রাঙ্গণে মঙ্গল আরতি ও জয়গানে মঙ্গল আহ্বান, পতাকা উত্তোলন, গুরু মহারাজের পূজা, অতিথিশালা উদ্বোধন, গুরু মহারাজের ভোগরাগ প্রার্থনা, মহাপ্রসাদ বিতরণ, শ্রীমদ্ভগবদগীতা পাঠ, ভক্ত সম্মেলন ও অদ্বৈত সঙ্গীতাঞ্জলি, দশমহাবিদ্যা পূজার অধিবাস হয়েছে। এদিকে সকাল থেকে মন্দির প্রাঙ্গণে আগত পূন্যার্থী রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

 

উল্লেখ্য: ১১ দিনব্যাপী এই মেলা ৩ বছর পর পর বাঁশখালীর ঋষিধামে বাংলাদেশের একমাত্র ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলা। এছাড়া এ স্থানটি বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম তীর্থ স্থান হিসেবেও পরিচিত। মেলা উপলক্ষে ভারত থেকে কয়েক হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আগমণ ঘটে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতে, পূর্ণকুম্ভের অনুসরণে স্বামী অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজ প্রতিষ্ঠিত ১৯৫৭ সাল থেকে এই ঋষিকুম্ভ মেলা শুরু হয়। আর এ মেলাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ-ভারত তথা উপ-মহাদেশের লক্ষাধিক সাধুসন্ন্যাসী ও পুণ্যার্থীগণ উপস্থিত হন।

 

পূর্বকোণ/অনুপম/মামুন/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট